মিতু হত্যা: ‘অস্ত্র সরবরাহকারী’সহ গ্রেপ্তার আরও দুইজন

mitu-_118230সিটিএন ডেস্ক :

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ভোলা মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগান দিয়েছিল।

মঙ্গলবার ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত একটি রিভলবার ও একটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মিতু হত্যায় জড়িত আরও দু’একজন গ্রেপ্তার হবে আমি নিশ্চিত- তার বক্তব্যের পরদিনই আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানাল পুলিশ।

মিতু হত্যা মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান দুজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাশ ভট্টাচার্য বলছেন, ভোররাতে নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে ভোলা ও মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই দুইজন আগেই পুলিশের হেফাজতে ছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।

এর আগে গত শনিবার মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরদিন আদালতে দুজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আদালতে ওয়াসিম বলেছেন, তিনি ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। তার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে কামরুল সিকদার ওরফে মুছা গুলি করেন মাহমুদাকে। আরেক আসামি মো. আনোয়ার বলেছেন, মাহমুদাকে গুলি করেছে ওয়াসিম। তার গুলিতেই বাবুল আক্তারের স্ত্রী মারা যান।

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিম ও আনোয়ার ছাড়াও আরও সাত থেকে আটজন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ভোলা ও মনিরও ছিল। এদের মধ্যে ভোলা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহকারী ছিল। সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।


শেয়ার করুন