মায়ের ভালোবাসার বিনিময় জান্নাত!

maaসিটিএন ডেস্ক:

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আপনার প্রতিপালক ফায়সালা করে দিয়েছেন যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করবে না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। (সুরা বনি ইসরাঈল : ২৩) কোরআন আরও বলছে, আমি বনি ইসরাঈলের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছি, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও উপাসনা করবে না এবং মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। (সুরা বাকারা : ৮৩)
মহানবী সা. বলেন, আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম, অতঃপর সেখানে কোরআন তেলাওয়াত শুনতে পেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, এই তিলাওয়াতকারী কে? ফেরেশতারা বললেন, হারিসা ইবনে নুমান (রা.)। মহানবী সা. বলেন, পুণ্যের প্রতিদান এমনই। সে ছিল তার মায়ের সঙ্গে সর্বাপেক্ষা সদাচরণকারী (আলমুস্তাদরাক) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো নেককার সন্তান যখন স্বীয় মা-বাবার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তখন আল্ল­াহ তায়ালা প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে তার আমলনামায় একটি মকবুল হজ লিপিবদ্ধ করে দেন।
সাহাবিগণ জানতে চাইলেন, যদি সে দৈনিক একশ’বার এভাবে তাকায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ! (প্রত্যেক দৃষ্টির বিনিময়ে সে এই সাওয়াব পেতে থাকবে) আল্ল­াহ অতি মহান, অতি পবিত্র তাঁর ভাণ্ডারে কোনো অভাব নেই। (মিশকাত শরিফ) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্ল­াহর নিকট সবচাইতে বেশি প্রিয়? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সময় মতো নামাজ আদায় করা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন কাজ? তিনি বললেন, মা-বাবার সঙ্গে সুন্দর আচারণ করা ।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ( বুখারি শরিফ)। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহতায়ালার নিকট মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করার চাইতে অধিক প্রিয় আর কোনো আমল হতে পারেÑ তা আমার জানা নেই। (আদাবুল মুফরাদ)। আবু বকর (রা.) এর কন্যা আসমা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে আমার মা মুশরিক অবস্থায় আমার নিকট এসেছিলেন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আরজ করলাম, আমার মা আমার নিকট এসেছেন, তিনি ইসলাম থেকে বিমুখ রয়েছেন। আমি কি তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন হ্যাঁ, মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। (বুখারি শরিফ)


শেয়ার করুন