মাহে রামাদানের শ্রেষ্ঠ উপহার মহা গ্রন্থ আল-কুরআন

imagesড. মুহাম্মদ নুরুল আবছার :

স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবজাতির আদি পিতা আদমকে (আ:) দিয়েছিলেন সকল জ্ঞানের দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পুরস্কার স্বরূপ ফেরেশতাকুলকে দিয়েছিলেন আদমকে সিজদার আজ্ঞা। পূর্বনির্ধারিত প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে অফুরন্ত স্বর্গীয় সুখ-শান্তি থেকে বঞ্চিত করে মানব যুগলকে পাঠানো হল সুখ-দুঃখ ও কষ্ট-ক্লেশ মিশ্রিত এ নিঠুর বসুন্ধরায়। অগণিত আদম সন্তানের হিদায়তের জন্য নবী-রাসূল ও আসমানী গ্রন্থ প্রেরণের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে। এ ধারাবাহিকতার পরিসমাপ্তি ঘটে সর্বশেষ নবী,সাইয়েদুল মুরসালিন হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর নবুওয়্যাত লাভ ও বিশ্ব মানবতার সর্বশেষ মুক্তির নির্দেশিকা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন অবতরণের মাধ্যমে। এব্যাপারে আখেরী নবীর (সা:) উপস্থাপিত চমৎকার উপমা সত্যিই প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, “আমার এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণের উপমা এমন এক ব্যক্তির ন্যায়,যে একটি গৃহ নির্মাণ করেছে এবং ওটাকে সুন্দর ও সুসজ্জিত করেছে,তবে ঐ গৃহের এক কোণের একটি ইট বসানো হয়নি। দর্শনার্থী লোকজন গৃহের এ অবস্থা দেখে বিস্মিত হয়ে বলতে থাকে,যদি এ ইটের স্থানটি খালি না হত তাহলে কতইনা ভাল হত। আমি হলাম ঐ ইট এবং আমি নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী”। (সহীহ বুখারী,কিতাবুল -মানাকিব,১ম খণ্ড,পৃ,৫০১।) তাঁর ওপর নাযিলকৃত কুরআন মাজীদ আল্লাহ্র প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব। এর পর আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আর কোন কিতাব নাযিল হবেনা। এটি পৃথিবীর সমগ্র মানুষের জন্য পথ প্রদর্শক। আল-কুরআন মানুষকে আল্লাহ্র পথ দেখায়। আল্লাহ্র সন্তুষ্টির পথ দেখায়, জান্নাতের পথ দেখায়। এ কিতাব জীবনের সকল ব্যাপারে সত্য-মিথ্যা,ন্যায়-অন্যায়, কল্যাণ-অকল্যাণ ও লাভ-ক্ষতির কথা পরিষ্কার বাতলে দেয়। এ মহা গ্রন্থই মানুষের জন্যে সত্য-মিথ্যা ও ভালো মন্দের মাপকাঠি। আল-কুরআনই আল্লাহ্র প্রকৃত পরিচয়, রিসালাতের মর্যাদা,পরকালীন জবাবদিহিতা এবং জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে জানবার মূল সূত্র। এ কিতাবের মাধ্যমেই মানুষ নিজের মুক্তির পথ খুঁজে পেতে পারে। লাভ করতে পারে সত্য সঠিক জীবন বিধান। আজো বিশ্বের সমস্যা নিপীড়িত ও শান্তির অন্বেষী মানবতাকে এ কিতাবই দিতে পারে সুখ-শান্তি ও মুক্তির দিশা। যেমন মহান আল্লাহ বলেন- “কত মহান তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্্রতি ফুরকান (সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী) নাযিল করেছেন, যাতে তিনি বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হতে পারেন”। (সূরা ফুরকান,আয়াত:১)। মহান আল্লাহ আরও বলেন, “বলুন, হে মানব সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র রাসূল”। (সূরা আরাফ,আয়াত :১৫৮)। পৃথিবীর সমাপ্তিকাল পর্যন্ত এ কুরআন মানুষকে সঠিক, নির্ভুল ও সরল পথের দিশা দান করবে। জীবন সংগ্রামে মানুষ অগণিত সমস্যার সম্মুখীন হবে, কুরআন তাদের সকল সমস্যার সমাধান করবে। সকল ঐশী গ্রন্থের মূল বিষয়গুলো আল্লাহ্ পাক কুরআনে করীমে সন্নিবেশ করেছেন। তিনি বলেন, “তিনি আপনার জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন (জীবন বিধান), যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নূহ কে। আর যা আমি ওহী করেছি আপনাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই বলে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে মতভেদ করনা।”(সুরা শূরা, আয়াত: ১৩) কুরআন মাজীদকে আল্লাহ তায়ালা প্রথমত : লাওহে মাহফুজে সংরক্ষণ করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “বরং এ কুরআন অতীব উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন সুরক্ষিত ফলকে (লিপিবদ্ধ)।” (সূরা বুরুজ,আয়াত :২১-২২)। কুরআন মাজীদ লাওহে মাহফুজে কখন, কি পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ও লিপিবদ্ধ হয়েছে তা আল্লাহ্ তায়ালা জানেন। আর তিনি জানেন, যাকে আল্লাহ পাক এ গায়েবী বিষয়ে অবহিত করেছেন। এ আয়াত থেকে সুস্পষ্ট জানা যায় যে, লাওহে মাহফুজে পূর্ণ কুরআনই সংরক্ষিত আছে। এ পবিত্র কুরআন দুটি পর্যায়ে অবতীর্ণ হয়: (ক) লাওহে মাহফুয থেকে লায়লাতুল কদর-এ পূর্ণ কুরআন এক সাথে দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ হয়। (খ) দুনিয়ার আকাশ থেকে ২৩ বছর সময় ব্যাপী প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে কিস্তিতে কিস্তিতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়। প্রথম পর্যায় ঃ এক বরকতময় রজনীতে পূর্ণ কুরআন লাওহে মাহফুয থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইয্যাহ নামক স্থানে নাযিল হয়। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,“আমি একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে” (সুরা-দুখান,আয়াত : ৩) মহান আল্লাহ আরও বলেন, “আমি একে নাযিল করেছি শবে কদর রাতে” (সুরা কদর,আয়াত :১-২)। তিনি আরও বলেন, “রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন”। (সূরা বাকারা,আয়াত : ১০৫)। এ তিনটি আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, কুরআন মাজীদ একটি রাতেই অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা দুখানের আয়াত থেকে জানা যায়, এ রাতটি হল বরকতময় রাত। আর সূরা কদরের আয়াত থেকে জানা যায় এ রাত হচ্ছে লায়লাতুল কদর। আর সূরা বাকারার আয়াত থেকে জানা যায়, এটি ছিল মাহে রমযানের একটি রাত। এ তিনটি আয়াতে কুরআন মজীদ নাযিলের যে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে তা একটি ভিন্ন ধরনের অবতরণ। নবী করীম (সা:)-এর উপর অবতরণ নয়। ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হাদীসে এ অবতরণের পক্ষে স্পষ্ট দলীল বিদ্যমান আছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন,“সম্পুর্ণ কুরআন একসাথে লায়লাতুল কদরে দুনিয়ার আকাশে নাযিল করা হয়েছে। এর পর তা বিশ বছরে নাযিল করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা:) অত:পর পাঠ করেন,“তারা আপনার কাছে কোন সমস্যা উপস্থাপিত করলেই আমি আপনাকে তার সঠিক জবাব ও সুন্দর ব্যাখ্যা দান করি। আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি খন্ড খন্ড ভাবে যাতে আপনি তা মানুষের নিকট পাঠ করতে পারেন ক্রমে ক্রমে আর আমি তা ক্রমশ: অবতীর্ণ করেছি”। হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে এ প্রসঙ্গে আরও তিনটি হাদীস বর্ণিত আছে : (১) ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরআনের উপদেশ বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে অত:পর ওটাকে দুনিয়ার আসমানে বায়তুল ইয্যাহ নামক স্থানে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে জিব্রাইল (আ:) নবী করীম (স:) এর উপর অবতীর্ণ করতে থাকেন। (জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতি,আল-ইতকান ফী উলুমিল কুরআন, ১ম খন্ড, পৃ. ৪০) (২) তিনি বলেন, পূর্ণ কুরআন একত্রিতভাবে দুনিয়ার আসমানে নাযিল করা হয়, এ অবতরণ প্রত্রিয়া ছিল “মাওয়াকি নুজুম”-এর ন্যায়। (আকাশে যেমন তারকারাজি একটির পর একটি বিচ্ছিন্নভাবে উদিত হয়।) অত:পর আল্লাহ স্বীয় নবীর ওপর একটি অংশ অপর অংশের পর নাযিল করতে থাকেন। (৩) তিনি বলেন, কুরআন রমযান মাসে লায়লাতুল কদরে একত্রিতভাবে দুনিয়ার আসমানে নাযিল হয়। অত:পর তা খন্ডাকারে নাযিল করা হয়। আসমানে পূর্ণ কুরআন একত্রিত ভাবে নাযিল করার হিকমত কি ছিল ? এ প্রসঙ্গে নিুোক্ত ব্যাখ্যা প্রণিধানযোগ্য : কুরআন এবং ওহী লাভকারী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:)- এর সম্মান সুপ্রতিষ্ঠিত করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য । আল্লাহ এটিকে প্রথম আকাশে নাযিল করে আকাশবাসীদেরকে বুঝাতে চেয়েছেন যে,এটি তাঁর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সর্বশেষ কিতাব, যা সর্বশেষ উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তিনি আরও বুঝাতে চেয়েছেন যে,এটি নাযিল করার উদ্দেশ্যে তাদের নিকটবর্তী করা হয়েছে। আল্লামা সাখাবী স্বীয় “জামালুল কুররা” গ্রন্থে বলেন প্রথম আকাশে সমগ্র কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য ছিল, ফেরেশতা গণের নিকট বণী আদমের মর্যাদা প্রকাশ করা এবং তাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ দয়া ও করুণার বহি:প্রকাশ ঘটানো। আর এ কারণেই সূরা আল-আনআম অবতীর্ণের সময় আল্লাহ ৭০ হাজার ফেরেশতাকে এ সূরার সম্মান প্রদর্শনার্থে একে নিয়ে যমীনে আসার হুকুম দেন। দ্বিতীয় পর্যায় ঃ কুরআন অবতীর্ণের দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, দুনিয়ার আকাশ থেকে নবী করীম (সা:)-এর অন্তরে পর্যায়ক্রমে ২৩ বছর সময়ব্যাপী অবতীর্ণ হওয়া । এ সময় হচ্ছে তার নবুওয়্যত লাভ থেকে ওফাত পর্যন্ত সময়কাল। এর দলীল নিুরূপ , আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর এ করআন আমরা অল্প অল্প করে নাযিল করেছি যেন তুমি থেমে থেমে ওটা লোকদের শুনাও। আর ওটাকে আমরা ক্রমশ : নাযিল করেছি” (সূরা: বণী ইসরাইল,আয়াত ১০৬) আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন “কাফিররা বলে,এ ব্যক্তির ওপর সমস্ত কুরআন এক সাথে নাযিল করা হলোনা কেন ? হ্যাঁ এরূপ করা হয়েছে এজন্য যে, আমরা ওটাকে খুব ভালোভাবে তোমার মন-মগজে বদ্ধমূল করছিলাম, আর এ উদ্দেশ্যেই আমরা ওটাকে ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করেছি” (সূরা ফুরকান, আয়াত : ৩২)। নবী করীম (সা:)- এর ওপর কুরআন অল্প অল্প করে নাযিল হওয়ার কারণে মুশরিক এবং ইয়াহুদীরা তাঁকে দোষারোপ করে। এপ্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত আছে ঃ “তিনি বলেন, একদা ইয়াহুদীরা বলল,হে আবুল কাসিম! এ কুরআন কেন একত্রিতভাবে নাযিল করা হয়নি ? যেমন তাওরাত মূসা (আ:)- এর ওপর একত্রিতভাবে নাযিল হয়েছে। ইয়াহুদীদের এ অভিযোগের জবাবে উপরোল্লিখিত আয়াত দুটি অবতীর্ণ হয় (জালালুদ্দিন আস্-সুয়ূতি,ইতকান ফী উলুমিল কুরআন,১ম খন্ড, পৃ: ৪২) খন্ডাকারে কুরআন মজীদ নাযিল হওয়ার হিকমত ও রহস্য ঃ ১. মুশরিকদের বিভিন্নমুখী নির্যাতন,নিপীড়ন ও উৎপীড়নের মোকাবিলায় নবীর অন্তরকে দৃঢ়করা এবং তার মনকে শান্ত রাখা। ২. পূর্ণ কুরআন একসাথে নাযিল হলে তা বহন করা কোমল অন্তকরণ বিশিষ্ট নবীর জন্যে কষ্ট সাধ্য হত। ৩. শরীয়তের আহকাম এবং নির্দেশাবলী পর্যায়ক্রমে নাযিল করা। ৪. কুরআন মজীদ হিফয্ করা, উপলব্ধি করা এবং সে অনুসারে আমল করা যাতে সহজবোধ্য হয়। ৫. সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ পেশ করা এবং এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে মুসলমানদের সতর্ক করা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা। ৬. কুরআন মজীদের উৎসমুল স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। তিনিই এ কুরআন নাযিল করেন। মানুষের অন্তরে এ ধ্র“ব সত্যটি বদ্ধমুল করা। ৭. উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা। সময় ও কালের বিবেচনায় সবদিন-ক্ষণ সমান। কিন্তু গুরুত্ব ও বিশেষত্ব বিবেচনায় কোন কোন দিনক্ষন স্মরণীয় ও বর্ণাঢ্য হয়ে থাকে। প্রকৃত পক্ষে এ রামাদানের মর্যাদা বা শক্তির মূল উৎস মহা গ্রন্থ আল-কুরআন। যেহেতু এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ আল-কুরআনুল করীম। যা মানব জাতির জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশিকা ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। মাহে রামাদানে কুরআনুল করীম অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি পূর্ববর্র্তী অন্যান্য প্রধান আসমানী গ্রন্থসমূহও এ মাসে অবতীর্ণ হয়। এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস (রা:) রাসূল (সা:) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সা:) বলেছেন : ইব্রাহিম (আ:) এর উপর সহীফাসমূহ নাযিল হয়েছে-রামাদানের প্রথম রাতে। হযরত মূসা (আ:) এর উপর তাওরাত নাযিল হয়েছে- ৬ রামাদান। হযরত দাউদ (আ:) এর উপর যবুর নাযিল হয়েছে-১২ রামাদান। হযরত ঈসা (আ:) এর উপর ইঞ্জিল নাযিল হয়েছে-১৩ রামাদান। আল-কুরআন – প্রথম নাযিল হয়-২৭ রামাদান (১ম আকাশে)। উল্লেখ্য যে, সে দিন হতে পরিপূর্ণ কুরআন নাযিল হতে সময় লাগে দীর্ঘ ২৩ বছর। মাহে রামাদান আত্মগঠন ও আত্মসংযমের এক অনন্য সেরা মাস। এ মাসের ১টি ফরজ ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ ইবাদাতের সমান। এ মাসে আছে সাহ্রী, ইফতার,তারাবীহ,ইতিকাফ,লাইলাতুল কদর,ফিতরা ও রামাদান শেষ হওয়ার পরের দিনই ঈদুল ফিতর। পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে এ মাসের লাইলাতুল কদরে, সংঘটিত হয়েছে ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর ও বিজয় হয়েছে পবিত্র মক্কা। কাজেই কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি কুরআন বিজয়েরও মাস এ পবিত্র মাহে রামাদান। মুসলিম উম্মাহ্ যদি রামাদানের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ মহা গ্রন্থ আল-কুরআনের অনুসরণে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা:) নির্দেশিত পন্থায় সিয়াম সাধনায় সচেষ্ট হয়, তবে অবশ্যই তাদের সমাজে রোযার সুফল দেখা দেবে। আমাদের সবাইকে মানবজাতির প্রকৃত কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে হবে।

প্রভাষক (আরবী), কক্সবাজার আদর্শ মহিলা কামিল মাদ্রাসা ও খন্ডকালীন লেকচারার, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।


শেয়ার করুন