সিটিএন ডেস্ক
প্রায় একবছর পর সমুদ্রপথে মানবপাচারের শিকার হওয়া ৩৫ বাংলাদেশি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে কয়েক দফায় দেশে ফিরে এসেছেন পাচারকৃত ৭১৫ জনের মধ্যে ৬৫৬ বাংলাদেশি নাগরিক। বাকি ৫৯ জনের পরিচয় এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিরা বিজি-১৮৭-এর একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুরশিদ জাহান। আর আজ সকালেই তারা মালয়েশিয়া থেকে রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসারের শ্রম ইউংয়ের প্রথম সচিব শাহিদা সুলতানা।
আজ যারা ফেরত এসেছেন তারা হলেন- শাহিন (২৩), হাসান মড়ল (৩৪), আকতার হোসাইন (৪৪), মো. রহিম (৩৫), মো. মোক্তার (১৯), মো. সাবের (১৯), লিটন (২০), আশিক (১৬), তাজুল ইসলাম (২৯), সৈয়দ কাশিম (১৯), মো. আশরাফুল ইসলাম (২৮), আশিকুল ইসলাম (২০), আনোয়ার (১৭), শিপন মোল্লা (২৫), তারিক রহমান (৩২), ইউসুফ আলী (২৬), বাদল শরিফ (৪০), মিরাজুল ইসলাম (১৬), রেজাউল (২৫), জসিম (২২), হাসমত (২৮), আব্দুল আলিম (২৩), গাফ্ফার (৩২), মিজান (৪০), বাবুল হাওলাদার (৩০), হাবিব (৫৫), আবু বকর সিদ্দিক (৩৮), আব্দুল্লাহ (৪০), মো. মাসুদ রানা (২১), আল আমিন (২৫), অসমান (২১), রিপন (১৮), অঞ্জন (২০), বোরহান উদ্দিন (২৪) এবং মোস্তাফা (২৪)।
শাহিদা সুলতানা মোবাইলযোগে বাংলামেইলকে বলেন, ‘সমুদ্রপথে মানবপাচারের শিকার হওয়া উদ্ধারকৃত যারা ছিল, তাদের মধ্যে থেকে আমরা ৬২১ জনকে ফেরত পাঠিয়েছি। আজকে আরো ৩৫ জনকে মালয়েশিয়ার বেলান্তিক ক্যাম্প থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তারা ঢাকায় পৌছেছে।’
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকৃত ৭১৫ জনের মধ্যে এখনো ৫৯ জন আছে। তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজ চলছে। তারা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে দেশে পাঠানো হবে। আর যদি বাংলাদেশি না হয় তাহলে পাঠাবো না।’ সম্পূর্ণ সরকারি খরচে তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় গত ১১ মে মালয়েশিয়ার লংকাবি দ্বীপের উপকূল থেকে হাজার খানেক অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে চিহ্নিত ৭১৬ বাংলাদেশির নামের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়। এরপর তাদের পরিচয় সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়।