মানহানি মামলায় সাংবাদিক শারেক বেখসুর খালাস

Cox-Pic_1-1 সিটিএন

কক্সবাজার আদালতে দায়ের করা একটি মানহানি মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মো. শামসুল হক শারেক।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুশান্ত প্রসাদ চাকমা ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রায়ে ‘বাদিপক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন’ বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারক।
এ সময় মামলার বাদী আসামীসহ উভয়পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন কক্সবাজার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী রমিজ আহমদ।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, একটি বস্তুনিষ্ট সংবাদের পরও আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বিষয়টি আমরা আদালতের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হই। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে রায় ঘোষণা করেছে। সুবিবেচনাপূর্বক আদালতের রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
একই সাথে এই রায়ের মাধ্যমে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী রমিজ আহমদ।
সাথে ছিলেন এডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর, এডভোকেট মো. ইউনুছ, এডভোকেট আব্দুল মান্নান, এডভোকেট এনামুল হক সিকদার।
মামলার বাদীপক্ষে ছিলেন এডভোকেট বদিউর রহমান, এডভোকেট মঈনুদ্দিন, এডভোকেট জাহাঙ্গির, এডভোকেট খাইরুল আমিন।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারী উভয়পক্ষ আদালতে মামলার চুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।
শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারী রায়ের দিন ধার্য করে আদালতের বিচারক।
রায় শুনার পর হতাশ মামলার বাদী মাওলানা মুহিব উল্লাহ। আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ধারণ করা ছবি।
রায় শুনার পর হতাশ মামলার বাদী মাওলানা মুহিব উল্লাহ।
আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ধারণ করা ছবি।
সুত্রে জানা গেছে, দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকায় একটি সংবাদের কারণে ২০১১ সালের ২৯ জুন মানহানির অভিযোগ এনে সাংবাদিক মো. শামসুল হক শারেকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা (সিআর-২৬২/১১) করেন উখিয়ার নিদানিয়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র মাওলানা মুহিব উল্লাহ।
এ মামলায় রাহামত উল্লাহ বাহাদুর নামের এক আসামীকে আগে খালাস দেয় আদালত।
সাংবাদিক শারেক ও অপর আসামী ফরিদ আলমও ১৮ ফেব্রুয়ারী আদালতের রায়ের মাধ্যমে বেকসুর খালাস পান।


শেয়ার করুন