মানবপাচারকারী বাংলা হোছন প্রকাশ্যে ঘুরছে

downloadবিশেষ প্রতিবেদক :
টেকনাফের হোয়াইক্যং উনছিপ্রাংয়ের শীর্ষ মানবপাচারকারী মানবপাচারকারী দলের প্রতিষ্টাতা সদস্য হোছন আহমদ ওরফে বাংলা হোছন এতোদিন ছিলো পলাতক। অথচ বর্তমানে মালয়েশিয়া থেকে গোপনে এসে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে আর স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এখবর জেনেও না জানার কথা বলে এড়িয়ে যাওয়ার পায়তারা শুরু করেছে। শীর্ষ মানবপাচারকারী দলের লিডার বাংলা হোছনের সহযোগিরা বিভিন্নভাবে গ্রেফতার হলেও তিনি রয়ে যান অধরা। খবর নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি ঈদুল আযহার আগে গোপনে পালিয়ে থাকা মালয়েশিয়া থেকে এসে রাতের আধারে ও বিলাসবহুল বাড়িতে আরাশ আয়েশ করে জীবনযাপন করছে। তার দেহরক্ষী হিসেবে রয়েছে বাহিরে ৪/৫ জন নাইটগার্ড। এই জগন্যতম মানবপাচারকারী দালাল প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা ও বীরদর্পে থানা কোটে বিচরণ করলেও পুলিশের রহস্য জনক ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তালিকাভুক্ত ও চার্জসীটভুক্ত মানবপাচারকারীদের গ্রেফতার করতে না পারায় দিন দিন এ অভিযোগ আরও জনমনে স্পর্ট হয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, থাইল্যান্ডের সীমান্ত জঙ্গলে পাচার হওয়া বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা নাগরিদের গন কবর আবিস্কার এবং সে দেশের দালালদের গ্রেফতারে থাই পুলিশ তৎপর হলে তৎসময়ে বাংলাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নড়ে বসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মালেশিয়ায় মানবপাচারে জড়িত শীর্ষ দালারদের একটি নামের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে প্রেরন করা হয়।
চলতি বছর মে মাসে এক সপ্তাহে কক্সবাজার জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মানবপাচারের জড়িত দালালদের গ্রেফতার ও অভিযান চলাকালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৫ জন শীর্ষ মানবপাচারকারী নিহত হন। এর পরও থেমে থাকেনি মানবপাচার।
পুলিশের হেডর্কোয়াটার মানবপাচারের জড়িত দালাদের তালিকা জেলার বিভিন্ন থানায় প্রেরন করে। শুরু হয় পুলিশের চিরুনী অভিযান। কিছু দালাল তৎসময়ে ধরা পড়লেও বেশীর ভাগ দালাল এলাকা হতে গা ঢাকা দেয়।
তার মধ্যে শীর্ষ আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী দলের সদস্য বাংলা হোছন অন্যতম। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সে পুলিশী গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে গেলেও গত কোরবানের ঈদের আগে থেকে তারা ফিরে আসে এলাকায়। অনেকটা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা শুরু করে।
সুত্রে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার আসামী বাংলা হোছন পুলিশী গ্রেফতার এড়িয়ে গোপনে থাকলেও গত কিছুদিন ধরে সে জনসম্মুখে চলে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে দায়েরকৃত মামলার চার্জসীট ভুক্ত আসামী বাংলা হোছনকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সকল রাঘববোয়ালরা বেড়িয়ে আসবে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানা, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন থানা ও সিআইডিতে ১০-১২ টি মামলা তদন্তে রয়েছে বলে টেকনাফ থানা সুত্রে জানা গেছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, প্রতিদিনই উপকূল ও বিভিন্ন জায়গায় মানবপাচারকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকেেযে কোন মুল্যে গ্রেফতার করা হবে।

শেয়ার করুন