মাদক সহ অসমাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্বারকলিপি প্রদান করলেন বাহারছড়াবাসী

099সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ॥

কক্সবাজার শহরের বৃহত্তর বাহারছড়ায় সম্প্রতি বিভিন্ন অলিতে-গলিতে অবাধে মাদক ও পতিতা বৃদ্ধিসহ সকল অপরাধ বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্বারকলিপি দিয়েছেন এলাকার ছাত্র ও যুব সমাজ। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় শত শত ছাত্র ও যুবকদের সাথে স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র সরওয়ার কামাল। স্বারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক মো: রুহুল আমিন দ্রুত ওসব অপরাধ বন্ধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকেও অবহিত করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এলাকাবাসীর মহৎ এ উদ্যোগে একাত্বতা প্রকাশ করেন কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ও মহিলা কাউন্সিলর কহিনুর ইসলাম সহ এলাকার সকল মুরব্বিগণ।
স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, এলাকার বিশিষ্ট যুবনেতা কক্সবাজার জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন মাসু, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য যুবনেতা মফিজুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যুবনেতা ওমর কাজী, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট যুবনেতা নাজিম উদ্দিন, পিকু বড়–য়া, বিশিষ্ট ঠিকাদার হারুন অর রশিদ, আবছার উদ্দিন, দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক মহসীন শেখ, আমির হোসেন আমু, নজরুল ইসলাম, মো: ইব্রাহিম, করিম উল্লাহ বাদশা, রূপন চৌধুরী, মো: হোসেন, আবু তাহের আবু, মো: সরওয়ার, মো: সাইফুল, মো: আনুয়ার, মো: আবছার কামাল, মো: আরিফুল ইসলাম, মো: রেজাউল করিম সবুজ, আলাহ উদ্দিন সাগর, জুবাইর, মিসাল, হুমায়ুন কবির ছোটন, সাজ্জাদ হোসেন, তানবির ইসলাম, কফিল উদ্দিন, সামি উল হোছাইন ও আসিফুজ্জামান প্রমূখ।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদকের মিনি বার খুলে হরেক রকম মরণ নেশা মাদকের অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অর্ধ শতাধিক মাদক মামলার আসামী মাদক স¤্রাট খ্যাত মো: কালু। কালু প্রশাসনের কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাশোয়ারা দিয়ে তার মাদক ব্যবসার প্রধান সহযোগী আপন শ্যালক কেরামত আলী, মো: আলী ও স্থানীয় শওকত আলীর পূত্র আলমগীর সহ ঘৃণ্যতম ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবার করলেই নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। ফলে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে এলাকার উঠতি বয়সী যুবক ও ছাত্ররা।
একই ভাবে অভিযোগ করে এলাকাবাসী বলেন, ঐতিয্যবাহী বৃহত্তর বাহারছড়া এলাকার বিভিন্ন অলিতে গলিতে বাসা-বাড়িতে চলছে দেহ ব্যবসা। বিশেষ করে পশ্চিম বাহারছড়ায় শহরের চিহ্নিত মাদক সেবী ও দেহ ব্যবসী রুজিনা প্রকাশ চুনচুনি তার বোন দূ:চরিত্রা আমেনা, মর্জিনা ও শারমিন একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতা ব্যবসা। প্রতিদিন ওই এলাকায় তারা অষ্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও হল্যান্ড’র কয়েকজন নাগরিক অবস্থান করে মাদক সেবন সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় প্রকাশ্যে সংঘটিত ওসব অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দিতে দূ:চরিত্রা ওসব মহিলার হাতে নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে চিহ্নিত ওই অপরাধী মহিলারা কক্সবাজার মডেল থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উল্লেখিত অভিযোগের ফলে গত নভেম্বরের শেষ দিকে শহরের কবরস্থান পাড়া থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী ওই নারীদের বিতাড়িত করার পর স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বর্তমানে শহরের পর্যটন হোটেলের সম্মূখস্থ পশ্চিম বাহারছড়ায় অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। একই গলিতে শহরের চিহ্নিত পতিতা জুনি ও তানিয়ার নেতৃত্বে প্রকাশ্যে অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। একাধিক স্বামীর পরিত্যক্ত রহিমা খাতুন নামের আরেক নারী তার নিজ বাড়িতে মাসের পর মাস সমুদ্রের আহারণ নিষিদ্ধ পচা শামুক ও ঝিনুকের গুদামজাত করায় দূগন্ধে এলাকাবাসী সহ পার্শ্ববর্তী সরকারী গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর গুলোতেও স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

গত ২৮ ডিসেম্বর এক প্রতিবাদ এলাকায় মাদক ও পতিতা ব্যবসা সহ সকল অপরাধ বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন বৃহত্তর বাহারছড়ার ছাত্র ও যুব সমাজ সহ সমগ্র এলাকাবাসী।

স্বারকলিপি প্রদান শেষে এলাকাবাসী জানান, অবিলম্বে ওসব অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।


শেয়ার করুন