মাওলানা আবদুল গফুর সব দলের কাছে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাওলানা আব্দুল গফুর ছিলেন সাহাবিদের প্রতিচ্ছবি। তিনি এক জন সফল সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি সব দলের কাছে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত ছিল। তার জীবন পরিচালনায় ছিল আখেরাতমুখী। কুরান সুন্নাহ কেন্দ্রীক জীবন পরিচালনায় তিনি অভ্যস্ত ছিলেন। মাওলানা আবদুল গফুর ইসলামি আন্দোলনের নিবেদিত সংগঠক ছিলেন। তিনি পরোপকারী ও মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে তার তুলনা হয়না। আমৃত্যু তিনি আদর্শ ও নীতি নৈতিকতাকে ধারণ করেছেন।” তিনি একজন জনপ্রিয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন এবং অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় হাদিসের পাঠদান দিয়েছেন। একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে তার তুলনা হয়না। যিনি হাজার হাজার আলেমের ওস্তাদ। উপরোক্ত কথাগুলো দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন।
২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে মাওঃ আবদুল গফুর (রহঃ) মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল পরিষদের সভাপতি মাওঃ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমীর চেয়ারম্যান মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারি, জেলা সেক্রেটারি এড. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এড. সলিমুল্লাহ বাহাদুর, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, হাফেজ মাওঃ সালামতুল্লাহ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওঃ হাবিবুল্লাহ, অধ্যাপক আবু তাহের, স্মৃতিচারণ করেন মরহুমের জৈস্ঠ জামাতা অধ্যক্ষ জাফরুল্লাহ নুরি, পরিষদ নেতা সমাজসেবক জেবর মুলক, একেএম মাহফুজুল হক, মাওঃ শফিউল হক জিহাদি, মাস্টার শফিকুল হক, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বাহাদুর, মাওঃ ফজলুল কাদের, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন জিকু, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, এম আর মাহবুব, আবদুল্লাহ আল ফারুক, জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন সিকদার, অধ্যাপক মাওঃ সলিম উল্লাহ, এড. নেজামুল হক, এড. তাহের আহমদ সিকদার, মরহুমের সন্তান মাওঃ আবুল কালাম, মাওঃ আবুল মনসুর ও মাওঃ আবুল কাশেম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন
নাগরিক পরিষদের নেতা রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল ও আমিনুল ইসলাম হাসান।
বক্তারা আরো বলেন, তিনি নীতিবোধ, নৈতিকতা, ইসলামী মূল্যবোধ ও আদর্শকে সঙ্গী করে আমৃত্যু পথ চলেছেন।”
অমায়িক, নম্র, ভদ্র, নির্লোভ ও নিরহংকার ছিলেন।

মাওঃ আবদুল গফুর রহঃ কে হারানোর মধ্য দিয়ে আমরা একজন পরিপূর্ণ জনহিতৈষী মানুষকে হারিয়েছি। মানবিক মূলবোধে তার মতো একজন মানুষের বড় প্রয়োজন। তার কর্মের মধ্য দিয়ে এই প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছেন। তিনি ভালো ও নীতিবান মানুষ ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা আরো বলেন, মাওঃ আবদুল গফুর ছিলেন একজন আপাদমহস্তক আদর্শিক মানুষ। শত প্রতিবন্ধকতায়ও নীতি – আদর্শ থেকে তিনি একটুও বিচ্যুত হননি। বহুগুণের অধিকারী ইসলামি চিন্তাধারার এই মানুষটি আজীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

মানুষের জীবন মান উন্নয়নে নিবেদিত প্রান, নিজস্ব এলাকার অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়নে সদা তৎপর । এলাকার শান্তি শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় তরিৎকর্মা জননেতা
হিসাবে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । তিনি ১৯৯২-১৯৯৭ইং পর্যন্ত ৬ বছর ঝিলিংজা ইউনিয়নের বিপুলভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন ।


শেয়ার করুন