মহেশখালীর ৭ ইউপিতে এগিয়ে যাঁরা

91b74817-e5fc-4e20-944d-233e9461ffc3শাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:

আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহেশখালী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের নির্বাচন। সময় ঘনিয়ে এসেছে একদম নিকটে। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে আর মাত্র পাঁচটি দিন পেরোলেই এই ভোট গ্রহণ হবে। ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় নির্বাচনী মাঠে চলছে প্রচার-প্রচারণার তোড়জোড়। বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
জয়কে নিজের ঘরে তুলে নিতে বসে কোন নেই প্রার্থী। রাত-দিন নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছেন সবাই। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুুরে ভিক্ষা করছেন মূল্যবান ভোট। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের মাঝেও চলছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। তারা হিসাব কষছেন কাকে ভোট দিলে আগামী পাঁচটি বছর সুখে থাকবেন। হবে এলাকায় উন্নয়ন। উন্নত হবে সাধারণ মানুষের জীবন। এই সব নির্বাচনী নানা বিষয় নিয়ে পুরো উপজেলা জুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। একই সাথে কে হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী? সেই আলোচনাও একেবারে তুঙ্গে। সাধারণ ভোটারদের চোখে মহেশখালীর সাত ইউনিয়নে ভোটের হিসেবে কারা এগিয়ে আছেন- সে হিসাব নিয়ে এই প্রতিবেদন।

মহেশখালীর একদম উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ১নং মাতারবাড়ি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী পাঁচজন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রুহুল, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নাসের উদ্দীন চৌধুরী মো. বাবর, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল্লাহ, আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এড. মোস্তাক আহমদ, কাউসার সিকদার। বেশ কিছু ভোটার সাথে কথা বলা জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও মাতারবাড়িতে ভোটের হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী নাসের উদ্দীন চৌধুরী মো. বাবর।

স্থানীয় ভোটার মীর কাশেম জানান, আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থী বেশি হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভোটগুলো ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু বিএনপির একটা ভোটও বাইরে যাবে না। তার সাথে যোগ হবে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট।

জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী বাবর চৌধুরীর এলাকা ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে। সেখানে আরো রয়েছেন মোস্তাক আহমদ ও কাউসার সিকদার কিন্তু তারা ভোটের মাঠে তেমন সরব নেই। সে কারণে স্থানীয় ভোটাররা তাদেরকে মূল্যায়ন করছেন না। যেহেতু তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। তাই এলাকার বিএনপির ছাড়াও আওয়ামী লীগের অর্ধেক ভোট বাবরের বাক্সে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজ এলাকা ছাড়াও ইউনিয়নের সব কেন্দ্র করে ভোট টানবেন বাবর। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিতর্কিত ভূমিকার কারণেও বাবরের ভোট বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

অন্যদিকে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আনা হচ্ছে মাহমুদুল্লাহকে। বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল রুহুল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেও নানা কারণে তিনি মাহমুদুল্লাহ থেকে পিছিয়ে আছেন। তার মধ্যে বিগত পাঁচ বছরে দূর্বল শাসন, পক্ষপাতদুষ্ট বিচার, ইউনিয়ন পরিষদের দোহাই দিয়ে কয়লা বিদ্যুৎ খাতে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েও এবার ক্ষমতা থেকে ছিটকে যেতে পারেন রুহুল। অন্যদিকে ভোটের রাজনীতে তেমন সক্রিয় না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই এড. মোস্তাক আহমদ আহমদ ও কাউসার সিকদার।

মহেশখালীর একমাত্র উপকূলীয় ইউনিয়ন ধলঘাটা। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মোক্তার আহমদের পুত্র কামরুল হাসান, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সরওয়ার আলম শাহীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম পুতু। সেখানে ভোটের রাজনীতিতে অন্য দু’জনের সমান এগিয়ে আছেন কামরুল হাসান।

স্থানীয় সুতুরিয়া এলাকার ভোটার নাজেম উদ্দীন জানান, কামরুল হাসানের এগিয়ে থাকার কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে তিনি সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, ক্লিন ইমেজ, বাবা ও বংশগত ঐতিহ্য এবং গতবারের মাত্র তিন ভোটে হেরে যাওয়া প্রার্থী।

জানা গেছে, কামরুল হাসান অন্য দু’প্রার্থীর সমান ভোট পাবেন। নিজ কেন্দ্র ছাড়াও অধিকাংশ কেন্দ্রে তিনি এগিয়ে থাকবেন। তার পক্ষে সাধারণ ভোটারদের গণজোয়ারও তার তা জানান দিচ্ছে। সব হিসেবে মিলে কামরুল হাসানই বসছেন ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারে- এমনটি মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। জনশ্রুতি রয়েছে, গতবারের নির্বাচনে কামরুল হাসান জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু আহসান উল্লাহ বাচ্চু প্রশাসনের সাথে কারসাজি করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।

মহেশখালীর সাত ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ইউনিয়ন কালারমারছড়া। নির্বাচন ছাড়াও নানা কারণে ইউনিয়ন সব সময় আলোচনায় থাকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কালারমছড়া নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নির্বাচন স্থগিতের গুজব এখনো মুখে মুখে। নির্বাচন স্থগিত না হলেও অনেক ভোটার এই নিয়ে এখনো সন্দিহান। তবে নিবার্চন কমিশনের ২২ মার্চই কালারমারছড়ার নির্বাচন হচ্ছে।

কালারমারছড়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক চেয়াম্যান ওসমান গণির পুত্র তারেক বিন শরীফ, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী এখলাছুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনচারুল করিম। তবে আনচারুল করিম ভোটের মাঠে নেই। তাই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দু’দলের দু’প্রার্থীর মধ্যে।

স্থানীয় ভোটার মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, কালারমারছড়ায় ভোটের হিসেবে তারেক বিন শরীফই এগিয়ে আছেন। তাঁর এগিয়ে অনেক বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম তারেক শরীফ মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজারের প্রথম শহীদ মোহাম্মদ শরীফ চেয়ারম্যানে নাতি, উত্তর মহেশখালীর স্বপ্নদ্রষ্টা ও সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান গণির পুত্র। ওসমান গণির নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা এখনো কালারমারছাড়ার সাধারণ মানুষের মনের দাগ কাটেনি। মূলত সেই সহানুভূতিতেই তারেক শরীফের বাক্সে পড়বে দলবিচারহীন ভোট। তাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেও তাকে ভোট দেবে বিএনপির বিপুল ভোটার। এছাড়া পিতার মৃত্যুর পর থেকে তারেক নানা বিচার-আচার, সাধারণ মানুষের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন। এতে নিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে প্রবল প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সেখানে তার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সব হিসেবে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসবেন তারেক শরীফ- এমনটি মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

মহেশখালী আরেক আলোচিত ইউনিয়ন হোয়ানক । এই নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক সাংসদ ইসহাক বি.এ এর পুত্র মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল মাবুদ চৌধুরীরর পুত্র বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল করিম চৌধুরী, বিএনপির বিদ্রোহী মাহবুবুল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান। এদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন এনামুল করিম ও মোস্তফা কামাল। হোয়ানক ইউনিয়নে এই দু’প্রার্থীর পক্ষে সমান গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দু’প্রার্থীই সমান এগিয়ে আছেন।

স্থানীয় ভোটার মোর্শেদ আলম জানান, হোয়ানক হচ্ছে বিএনপির ঘাঁটি। এনামুল করিম নব্য বিএনপি হলেও বিএনপির সব ভোট এনামের বাক্সে পড়বে। তার সাথে বর্তমান চেয়ারম্যানেরও একটা দারুণ প্রভাব কাজ করবে। গত পাঁচ বছরে তিনি এলাকায় উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন কাজ করেছেন ভোটারেরা মনে করেন। তাই গতবারের চেয়ে অনেক নতুন ভোট বাক্সে পড়বে। পুরো ইউনিয়ন থেকে তিনি ভোট পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে হিসেবে এনামের নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে মোস্তফা কামালও কম যান না। তার বাবা মরহুম ইসহাক মিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সাংসদ ও বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন। ভালো মানুষ হিসেবে এখনো তাঁর নামডাক রয়েছে। এমন যোগ্য মানুষের সন্তান হিসেবে মোস্তফা কামালও কম নয়। শান্ত ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী মোস্তফা ২০০৩ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। কথিত রয়েছে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন বিএনপির প্রার্থী আবু তাহের সিকদার তার জয় ছিনিয়ে নিয়ে ছিলেন বলে গুজব রয়েছে। এই বিষয়টা এখনো মানুষের মুখে মুখে ফিরে। সেই হেরে যাওয়ার সহানুভূতি মোস্তফার পক্ষে এবার কাজ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব হিসেব মিলে গেলে মোস্তফাই হচ্ছেন হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের কান্ডারী। অন্যদিকে যেই এগিয়ে থাকুক লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। জল্পনা-কল্পনা বাদ দিয়ে এই ইউনিয়নের ফলাফল নির্ধারণে ভোটের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে- এমনটি সচেতন মহলের ধারণা।
বড়মহেশখালীতে প্রার্থী সংখ্যা চারজন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ আলমগীর ফরিদের ভাতিজা এনায়েত উল্লাহ বাবুল, আকতার কামাল ও আমান উল্লাহ। তবে মাঠে নেই আকতার কামাল ও আমান উল্লাহ। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে শরীফ বাদশা ও এনায়েত উল্লাহ বাবুলের মধ্যে। তারা গতবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। সেবার অল্প ভোটে হেরেছিলেন এনায়েত উল্লাহ বাবুল।
স্থানীয় ভোটার শফি উল্লাহ জানান, গতবারে হারলেও এবার শরীফ বাদশাকে হারিয়ে দিতে পারেন এনায়েত উল্লাহ বাবুল। নানা কারণে এবার বাবুলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলেও দাবি করেন এই ভোটার।

জানা গেছে, নানা কারণে এনায়েত উল্লাহ বাবুলের পিতা মরহুম সিরাজুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান ও স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্যদিকে দলীয় ব্যানারের নির্বাচন হওয়ায় তার চাচা আলমগীর ফরিদের ইমেজও বাবুলের পক্ষে উঠেছে। কেননা বড়মহেশখালী ইউনিয়নও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই বিএনপির প্রার্থী না হলেও বিএনপির সব প্রার্থী বাবুলের বাক্সে পড়বে এটা নিশ্চিত। অন্যদিকে শরীফ বাদশার কিছু কর্মকান্ডেও সাধারণ মানুষের ভোট বাবুলের পক্ষে আসবে-এমনটি মনে করা হচ্ছে।
সূত্র মতে, শরীফ বাদশার লোকজন তার আপন ভাতিজার দু’চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনাটি এখন ‘টক অব দ্য বড়মহেশখালী’। এই ঘটনা শরীফ বাদশার জন্য মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান হলেও বিচার-আচারে তাকে কাছে না পাওয়ার অভিযোগ বিস্তর। এছাড়া সম্প্রতি এনায়েত উল্লাহ বাবুলের সাত সমর্থককে গুলি করে আহত করার ঘটনাটিও শরীফ বাদশার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাবুলের পক্ষে জনসমর্থন অনেক বেড়েছে।

উপজেলা সদরের সাথে লাগোয়া এই ইউনিয়ন কুতুবজোম। সেখানে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দু’জন প্রার্থী সরাসরি নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে মাঠে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মাওলানা শফিউল আলম। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদ সওদাগরের পুত্র তরুণ সমাজ সেবক মোশররফ হোসেন খোকন। এই ইউনিয়নেও দু’প্রার্থীকে প্রায় সমানে সমান মনে করা হলেও ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে আছেন মোশারফ হোসেন খোকন। তাঁর এগিয়ে থাকার কারণ হিসেবে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন তার বাবা কবির আহমদ সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান। এই কারণে পিতার বড় ইমেজ মোশারফের পক্ষে কাজ করছে। ব্যক্তি হিসেবে মোশারফও কম নয়। ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে বিপুল জনসমর্থন তার পক্ষে। এছাড়া সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার বিষয়টিও তার ভোট ব্যাংক বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মাওলানা শফিউল আলম খুব একটা পিছিয়ে নেই। আপততের হিসাব পাল্টে দিতে পারলেও তার ঘরে উঠতে পারে জয়।

ছোটমহেশখালী প্রার্থী সংখ্যা পাঁচজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী সাবেক বৃহত্তর গোরকঘাটার চেয়ারম্যান মো. আলীর পুত্র জিহাদ বিন আলী, বিএনপির প্রার্থী নূরুল হুদা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, বিএনপির বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা ও জাপার প্রার্থী সিরাজুল মোস্তফা বাশি।
এই ইউনিয়নের এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিহাদ বিন আলী। তার এগিয়ে থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে, তার বাবা মো. আলী ছিলেন ছোটমহেশখালী ইউনিয়নের রূপকার। তিনি ইউনিয়ন গঠন করে এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ এলাকার নানামুখী উন্নয়ন করেছেন। সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় মানুষ। মূলত বাবার জনপ্রিয়তাই জিহাদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসবেন বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল মোস্তফা। বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে একটা ইমেজ রয়েছে। সে কারণে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখছে সচেতন মহল।


শেয়ার করুন