মহেশখালীর বড়ুয়াপাড়া অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য

download (2)এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী প্রতিনিধি।

গত বছরের পুলিশের কড়া নজরদারী কারণে অস্ত্রসহ কয়েকজন ডাকাতকে আটক করা হলে ও এখনো মূল হোতাদের ধরতে পারেনি পুলিশ। সম্প্রতি কালারমারছড়া চালিয়াতলী সড়কে সাজ্জাদ নামে এক ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। অপরদিকে সড়ক ডাকাতি, জলদস্যুতা, খুন, ইয়াবা ও মানবপাচার সহ কি নেই দেশের পাহাড় সমৃদ্ধ একমাত্র দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীতে। আর এ উপজেলার ক্রাইমজোন খ্যাত কালারমারছড়া ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া অপরাধীদের সর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, অরণ্য পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত বজলের আস্তানা খ্যাত উত্তর নলবিলা বড়ুয়া পাড়া নিরাপদ হিসাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বড়–য়া পাড়ায় এসে আস্তানা গেড়েছেন। এবং মৃত বজল ডাকাতের অক্ষত থাকা অস্ত্র গুলো উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহেশখালী দ্বীপের স্থলপথের যাতায়তের প্রবেশদ্বার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী-বড়ুয়া পাড়া গ্রাম। কাগজ পত্রে গ্রামটির নাম উত্তরনলবিলা বড়ুয়া পাড়া হলেও সবাই ডাকাতদের গ্রাম বলে চেনে। তাই এ গ্রামটিতে উপজেলার আর ২০/২৫টি গ্রামের চেয়ে ভিন্ন। শুনলে অবাক হওয়ার মতো যে,এ গ্রামটি বসবাসকারী শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ ডাকাতির পেশা সঙ্গে জড়িত। পূর্ব পুরুষদের পেশা ধরে রাখতে বর্তমান প্রজন্মের এরাও এখন ডাকাত। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজন এ গ্রামের কথা শুনলেই যেন বুক শিউরে উঠে। পুরো উপজেলায় এই গ্রামটি ডাকাত অধ্যুষিত। কারন ডাকাতি করাটা তাদের পুরানে অভ্যাস। বাপ-দাদার পেশা হিসেবে এই পেশা কেউ ছাড়তে চায়না। আবার অনেকে ভাল হতে চাইলেও পারে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর আগে সর্বশেষ পরিনিতি হয়েছে কালারমারছড়া উত্তরনরবিলা আফজলিয়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের পুত্র ডাকাত সদ্দার বজলের। তাকে সাধারণ জনগনের গণধোলাই নিহত হয়ে না ফেরার দেশে ফাঁড়ি জমায় শেষ হয় একটি কালো অধ্যায়। বর্তমানে সক্রিয় থাকা ডাকাতদের পরিনতি যদি বজলের মত হয় তা হলো এ ডাকাতি অনেকংশ হ্রাস পাবে বলে মনে করেন স্থানিয় লোকজন। সম্প্রতি ডাকাত বজলের রেখে যাওয়ায় একটি বিশাল বাহিনী উত্তর নলবিলা কালারমারছড়া, শাপলাপুর সড়ক এবং মাতারবাড়ী সড়ককে ডাকাতি,সাগরে জলদস্যুতাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে আর ডাকাত সদ্দার জনগণের গণধোলাই নিহত বজলের রেখে যাওয়া ভারী অস্ত্রগুলো একরাম ডাকাতের নেতৃত্বে ডজনখানিক সন্ত্রাসীরা ব্যাবহার করছে বলে এমন কথার উদয় হচ্ছে সচেতন এলাকাবাসীর মাঝে।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় জনমনে নিরব আতংক বিরাজ করছে। উল্লেখ্য যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২ ইং তারিখ গনপিটুনিতে ডাকাত বজল মারা যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বড়ুয়া পাড়া দিনের বেলায় প্রকাশ্যে চলে মদ-জুয়া ও গাঁজাটিদের আড্ডা । ইয়াবা ও হিরোইন সহ এমন কোন মাদক দ্রব্য নাই যা বড়–য়া পাড়া পাওয়া যায়না বলেও জানান এলাকার সচেতন মহল। এদিকে মাদকের ছোঁবলে পড়ে বিপদ গ্রস্থ হচ্ছে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা । জানা গেছে, এলাকার কিছু প্রভাবশালী যুবক জড়িত থাকায় এ সব অপরাধীর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আবার কেউ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানুষিক অত্যচার নির্যাতন । এ ভয়ে সবাই টু শব্দটি ও করে না এলাকায়। যার কারনে নির্বিঘে চলছে এসব অপরাধমুলক কাযর্ক্রম। জেলা প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষন করছে স্থানীয় সচেতন মহল।।


শেয়ার করুন