মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে

মহেশখালীতে মানব পাচার মামলার আসামী বার্মাইয়া ছাবের গ্রেপ্তার

97d31262-a1b8-424d-b709-2304411efdb5মহেশখালী প্রতিনিধি
মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মানব পাচারকারী মামলার ওয়ারেন্ট ভোক্ত আসামী ছাবের আহমদ (৩৪) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সে কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। ১৪ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে তিনটার সময় কুতুবজোম বটতলী এলাকা থেকে মহেশখালী থানার বিশেষ আনচার মনিরুজ্জামান (মনির) এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার এস.আই.বোরহান উদ্দীন,এস.আই ফজলুল কাদের পাটুয়ারি ,এ.এস আই আতিক সঙ্গীয় র্ফোসসহ অভিযান চালিয়ে উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মানব পাচার মামলার আসামী ছাবের আহমদ এর বিরোদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি হত্যা ও দু’টি মানব পাচার মামলা রয়েছে।
বেশ কয়েক বছর আগে তার পিতা রুস্তম আলী বার্ম্ম থেকে পালিয়ে এসে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকায় আশ্রয়নেয় এবং কৌশলে ভোটার হয়ে বাংলাদেশের নাগরিক বনে যায়। আটককৃত ছাবের আহমদের ভাই নুর মোহাম্মদ কয়েক বছর আগে সাগর পথে মালেশিয়া পাডিজমায়। ওই নুর মোহাম্মদ থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে পাচারকারী সিন্ডিকেট গড়েতুলে।
সুত্রে জানা যায়,ছাবের বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদম সংগ্রহ করে , সাগর পথে তার ভাই নুর হোসেনের কাছে পাটিয়েদিত মানুষ। ওখানে যারা মুক্তিপন দিতে পারত তারা কোন মতে জানে বাঁচতে পারলেও, যারা মুক্তিপন দিতে পারত না,তাদের জীবনে নেমে আসত চরম অমানবিক নির্যাতন।
সম্প্রতি মানব পাচার ভাগাভাগি নিয়ে উপজেলার সোনাদিয়া চর এলাকায় গভীর রাতে গুলাগুলির ঘটনাঘটে ছিল। ওই ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়। ওই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছাবের দীর্ঘদিন পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে স্থানীয়রা সন্তুষ প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, মানব পাচার মামলার আসামীর খবর পেয়ে পুলিশ পাটিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ জিরোটলারেস ভুমিকায় রয়েছে। দাগী,সন্ত্রাসী ওয়ারেন্ড ভোক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


শেয়ার করুন