মহেশখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্র ব্যবসায়ী নিহত, অস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বন্দুকযুদ্ধে এক অস্ত্র ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালের এ ঘটনায় নিহত খুলু মিয়া ওরফে খুইল্যা মিয়া (৫০) একটি অস্ত্র মামলায় ৩০ বছরের পলাতক আসামি। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উপজেলার হোয়ানক কেরুনতলী গহীন পাহাড়ে কুদাল্যা বাহিনীর আস্তায় একদল সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগর মিলে বিপলু সংখ্যাক অস্ত্র মেরামত ও অস্ত্র পরীক্ষা নিরাক্ষা করছিল।
তিনি জানান, গোপন সংবাদে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবালের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে জেলা ও মহেশখালী থাানর বিপুল সংখ্যাক পুলিশ ওই পাহাড়ি আস্তানা ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে সাড়ে ১১ টার দিকে পাহাড়ের চারদিক থেকে যৌথভাবে অভিযান চালায়।
ওসি জানান, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগররা অভিযান টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুক যদ্ধের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক গুলি করা হলে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ী পথ দিয়ে গহীন পাহাড়ে চলে গেলেও গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় অস্ত্র মামলার ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বড় মহেশখালীর মাঝের পাড়াএলাকার আজম উল্লাহর ছেলে খুলু মিয়া ওরফ খুইল্যা মিয়াকে (৫০) করা হয়। তিনি জানান, আহত অস্ত্রের কারিগর ও সন্ত্রাসীদের পাহাড়ি আস্তানা থেকে ১৩টি বন্দুক, ৩২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ২০০ রাউন্ড ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত খুইল্যা মিয়াকে মহেশখালী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হন। আহতরা হচ্ছেন এসআই হারুনর রশিদ, এএসআই সঞ্জীব দত্ত, এএসআই মেহেদী হাসান, এএসআই সহিদুল ইসলাম কং-রুবেল শর্মা, কং মিঠুন ভৌমিক ও সবিনয় চাকমা। আহতদের মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত খুইল্যা মিয়ার বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অস্ত্র ও হত্যাসহ সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং একটি মামলায় ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার জানান। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার টুটুল বলেন, নিহত অস্ত্রের কারিগরের ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মহেশখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলেছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল অভিযান শেষে মহেশখালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার নেতৃত্বে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ ও মহেশখালী থানা পুলিশ যৌথ ভাবে পাহাড়ে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক অস্ত্রের কারিগর খুইল্যা মিয়া নিহত হয়। তার আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যাক অস্ত্র ও কার্তুজ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
Share


শেয়ার করুন