মহেশখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখল নিতে চষে বেড়াচ্ছে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী

imagesমহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন মাতারবাড়ীতে সন্ত্রাসী ও দখলবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে কৃষকলীগ নেতা আহমদ হোছাইনে’র মালিকনাধীন ফিশিন্য ঘোনা (দারা ঘোনা)।

জানা গেছে, জবর দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম ও শাহাজানের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরটি দখল নিতে দারাঘোনার আশ-পাশের এলাকায় চষে বেড়াচ্ছে। দখলবাজ চক্র চাঁদারদাবীতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে ওই চিংড়ি ঘের মালিককে। এমনকি মিথ্যা মামলা-মোকাদ্দামা দিয়ে গায়েল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে চাঁদাবাজদের ভয়ে চিংড়ি ঘেরের যেতে পারছে না ওই ঘের মালিক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মাতারবাড়ীর বিএনপির নেতা সাবেক এক চেয়ারম্যান এ সন্ত্রাসী বাহিনীদের ইন্ধান দেওয়ায় তারা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে বর্তমান ইজারাদার কৃষকলীগ নেতা আহমদ হোছাইন বাদী হয়ে ২৫ নভেম্বর বুধবার কক্সবাজার পুুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। ঘের অংশিদারার জানান, মাতারবাড়ী রাজঘাট এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলাম, মৃত জাফর আহমদের ছেলে শাহাজাহান, মৃত সাহেব মিয়ার ছেলে বাহাদুর আলম, নাজুুমিয়ার ছেলে জানে আলম জুনুসহ অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী ঘেরটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। তাদের এই শক্তিশালী বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়ত জবর দখল, চুরি, অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বীরদর্পে। ঘেরমালিক আহমদ হোছোইন চাঁদা না দেওয়ায় সম্প্রতি ওই চিংড়ি ঘেরে  অস্ত্রের মহড়া  চালিয়ে ২ শ্রমিককে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
স্থানিয়রা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বদরখালী-কালারমারছড়া-মাতারবাড়ীর কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী লালন পালন করে আসছে। তার মধ্যে কালারমারছড়া-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে ডাকাতিতে নেতৃত্বে দেওয়ায় ডাকাত দলের গডফাদার উত্তরনলবিলা এলাকার একরামের সাথে রয়েছে তাদের দহরম মহরম সর্ম্পক।  প্রতিনিয়ত তারা  ডাকাত সদ্দার একরামকে সাথে নিয়ে চিংড়িঘের দখল, ঘের মালিকদের  জিম্মি করে চাঁদা আদায় ঘেরে বিনা পয়সায় শেয়ার দাবী, ঘেরের মাছ ও মালামাল লুট করারসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।  এ নিয়ে এ বাহিনী স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টাও করছে বলে এলাকায় উড়ে কথার উদয় করছে।  অন্যদিকে কৃষকলীগ নেতার মালিকানাধীন দারাঘোনার জবর দখলকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এ দিকে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার শান্তিপ্রিয় জনগণ।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইকুল আহমদ ভূঁইয়া বলেন, আমি অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাচাই পূর্বক  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন