মসজিদে প্রবেশের নিয়ম

masjid-400x293মসজিদ আল্লাহর ঘর। মুসলমানদের ইবাদত ঘর। ইবাদত ঘরের আদব রক্ষাও ইবাদত। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন নবী মুহাম্মদ সা.। মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করার গুরুত্ব প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে নাপাক, নোংরা ও পীড়াদায়ক বস্তু অপসারণ করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য বেহেশতে ঘর তৈরি করে দিবেন।’ অপর হাদিসে আছে, ‘আল্লাহ তায়ালার কাছে সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় স্থান হলো মসজিদ।’ হজরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, নবী করিম সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় সে যেন আমাকে ভালোবাসে, যে আমার সঙ্গে ভালবাসা রাখতে চায় সে যেন আমার সাহাবাদের ভালোবাসে, যে আমার সাহাবাদের ভালোবাসতে চায় সে যেন কোরআনকে ভালোবাসে, যে কোরআনকে ভালোবাসতে চায় সে যেন মসজিদকে ভালবাসে। কেননা মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর।’
সে হিসেবে প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, মসজিদের সম্মান ও আদব কায়দা রক্ষা করে চলা।
নত চোখে, ভীত মনে মসজিদে প্রবেশ করবে।
মসজিদে প্রবেশের পূর্বে জুতা খুলে নেবে।
প্রবেশের আগে বিসমিল্লাহ পড়বে।
দুরুদ ও সালাম পড়বে।
দোয়া পড়বে। তিনটি দোয়া একত্রে এভাবে পড়া যায়, ‘বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসুলুল্লাহি আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিক’
অর্থ, হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গোনাহ মাফ কর এবং আমার জন্য তোমার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দাও।
মসজিদে প্রবেশের সময় ইতেকাফের নিয়ত করবে।
মসজিদে বেচা-কেনা না করা।
কোনো হারানো জিনিস খোঁজার উদ্দেশ্যে মসজিদে ঘোষণা না দেওয়া
আল্লাহর যিকির ব্যতিত আওয়াজ উঁচু না করা।
কোনো শোরগোল না করা।
মসজিদে নিজের জন্য কিছু চাওয়া বা প্রদান করা মাকরূহ। তবে অন্য কেউ বলে দিতে পারে।
মসজিদে দুনিয়াবি কথাবার্তা না বলা।
মসজিদে রাজনৈতিক মিছিল মিটিং না করা।
মানুষের ঘাড়ের ওপর দিয়ে না যাওয়া
কাতারে ঠাসাঠাসি করে কারও ওপর চাপ না দেওয়া
নামাজরত ব্যক্তির সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম না করা।
মসজিদে আঙ্গুল না ফোটানো
মসজিদে বায়ু ত্যাগ না করা।
মসজিদে পাগল বা শিশুদের না আনা। যদি শিশুদের দ্বারা মসজিদের পবিত্রতা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে।
মসজিদে কুরআন, হাদিস, ফেকাহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা।
সূত্র : আহকামে জিন্দেগী


শেয়ার করুন