মধ্যবর্তী নির্বাচন একমাত্র সমাধান

70টাইমস ডেস্ক ::

প্রথম আলো ::সাংবিধানিকভাবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনে এর কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের অনুসারী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলিয়ে ১২টি দল নির্বাচন করেছে। তাতে ১৫৩টি আসনে প্রত্যক্ষ কোনো নির্বাচন হয়নি। এসব আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। পরে উপনির্বাচনে আরও একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এ ধরনের নির্বাচন ইতিহাসে নজিরবিহীন। দেশের মানুষ এ নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বলে আমি মনে করি না।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এখন হানাহানি শুরু হয়েছে। এই হানাহানি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় মধ্যবর্তী নির্বাচন। তা না হলে সংঘাত আরও বাড়বে। অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের সংঘাতে দেশের অর্থনীতির সূচকের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদের গার্মেন্টস খাত যত দিন থাকবে এবং প্রবাসীরা যত দিন রেমিট্যান্স পাঠাবে, তত দিন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। এ দিক থেকে সরকার সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। কিন্তু তাতে কী হবে! সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে, তাতে প্রাণ হারাবে অনেক মানুষ। ধ্বংস হবে দেশের সম্পদ।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনমনীয় ভূমিকা দেশকে আরও বেশি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে। তাঁরা যদি ঠান্ডা মাথায় বসে আলাপ-আলোচনা করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে একমত হন, তাতে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, তাই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে তাদের।
রফিক-উল হক: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী


শেয়ার করুন