ইরান তার আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে- যাদের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট আসাদের সিরিয়া সরকার এবং ফিলিস্তিনের হামাস।
খোমেনি মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উপলক্ষে যে বক্তৃতা দেন, সেখানেই এসব মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের এখন তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে। পরমাণু চুক্তির পরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেছেন, এই চুক্তি সত্ত্বেও ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তাদের বন্ধুদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করবে না। ইয়েমেন এবং বাহরাইনের নিপীড়িত মানুষের জন্য, সিরিয়া ও ইরাকের জনগণ এবং সরকারের জন্য এবং লেবানন ও ফিলিস্তিনের সত্যিকারের জিহাদিদের জন্য ইরানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সংবাদদাতারা বলছেন, পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ যারিফ যেভাবে এটির প্রশংসা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন, খোমেনির দৃষ্টিভঙ্গী তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
এই চুক্তির পর থেকেই জল্পনা চলছিল, ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটা নুতন বাঁক নিতে চলেছে। পাল্টে যেতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, আয়াতুল্লাহ খোমেনির বক্তব্য থেকে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে ইরানের রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে তাদের কট্টর অবস্থান থেকে এখনই সরে আসতে রাজি নয়।