ভেনিজুয়েলায় জরুরি অবস্থা ভেঙে ব্যাপক বিক্ষোভ

fileভেনিজুয়েলায় জরুরি অবস্থা ভেঙে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে দেশটির সাধারণ জনগণ। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের তৃতীয়দিনে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় নির্বাচন পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও করতে যেতে হলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

 এর আগে গত শুক্রবার দেশটির ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ৬০ দিনের জন্য অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।আর এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে জনগণ।

কারাকাসে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, এবার তারা দৃঢ়ভাবে মাঠে নেমেছে। এর একটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবে। ওই বিক্ষোভকারী বলেন, দেশটি তীব্র খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। ফলে এভাবে দেশ চলতে পারে।

কংগ্রেসে বিরোধী ডানপন্থীদল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রথমবারের মত প্রেসিডেন্ট মাদুরো কংগ্রেসে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের কয়েক ঘণ্টা পূর্বে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডিক্রি জারির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন এবং মুদ্রা স্থানান্তরের উপর আরো বেশি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন।

ভেনিজুয়েলায় বিশ্বের সর্বাধিক তেলের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তেলের মূল্য হ্রাসের কারণে গত ১৮ মাসে দেশটির প্রায় ৬০% আয় কমে গিয়েছে।

এর প্রভাব পড়েছে মুদ্রাস্ফীতির উপর। ভেনিজুয়েলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি পূর্বের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৪১% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির আয়ের ৯৫% আসে তেল রপ্তানি থেকে।

মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবৃদ্ধি ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবারহ ঘাটতি জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ফলে হুগো শ্যাভেজ পরবর্তী সময়ে ভেনিজুয়েলা বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময় অতিক্রম করছে।


শেয়ার করুন