ভিজিএফ চাল পাচ্ছে দেড় লাখ মানুষ

2015_09_22_21_53_55_9ssVggQ5K0FsmPaVDAIkp3P9hTTK9Y_originalসিটিএন ডেস্ক :

পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে এবার রাজশাহী জেলায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭০৬ জন অসহায় ও দুঃস্থ ব্যক্তি বিশেষ সহায়তার (ভিজিএফ) চাল পাচ্ছেন। ৯ উপজেলা ও ১৪ পৌরসভায় ঈদের আগেই এ খাতে প্রায় ১ হাজার ৪৪৭ টন চাল বিরতণ করা হচ্ছে বলে রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৭টিতে সুবিধাভোগীদের মধ্যে ভিজিএফ চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। এছাড়া ১৪ পৌরসভার মধ্যে ৭টিতে চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। অন্যগুলোতে বিতরণ চলছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের প্রধান সহকারী শাহ মোহাম্মদ জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে এবার নয় উপজেলায় এক লাখ চার হাজার ৬৫৭ জন সুবিধাভোগী ভিজিএফ চাল পাচ্ছেন। আর ১৪ পৌরসভায় এর সংখ্যা ৪০ হাজার ৪৯ জন। প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ১৮ হাজার ৮২১ জনকে ১৮৮ দশমিক ২১ টন, তানোরে ১০ হাজার ৬২১ জনকে ১০৬ দশমিক ২১ টন, বাগমারায় ১৭ হাজার ৪৮৩ জনকে ১৭৪ দশমিক ৮৩ টন, বাঘায় ৮ হাজার ৭৭২ জনকে ৮৭ দশমিক ৭২ টন, পুঠিয়ায় ৯ হাজার ৬৬৪ জনকে ৯৬ দশমিক ৬৪ টন, মোহনপুরে ৭ হাজার ৭৫৮ জনকে ৭৭ দশমিক ৫৮ টন, চারঘাটে ১৪ হাজার ৩২১ জনকে ১৪৩ দশমিক ২১ টন, দুর্গাপুরে ৯ হাজার ৭৩০ জনকে ৯৭ দশমিক ৩০ টন এবং পবায় ৭ হাজার ৮৮৭ জনকে ৭৮ দশমিক ৮৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে রাজশাহীর চৌদ্দ পৌরসভায় ৪০ হাজার ৪৯ জনকে ৪০০ দশমিক ৪৯০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই তালিকায় সবার শীর্ষে রয়েছে ক-ক্যাটাগরির গোদাগাড়ী, নওহাটা ও তাহেরপুর পৌরসভা। এ তিন পৌরসভার প্রতিটিতে ৪ হাজার ৬২১ জনকে ৪৬ দশমিক ২১০ টন করে চল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খ-ক্যাটাগরির মুণ্ডুমালা, কাঁকনহাট, বাঘা, কেশরহাট ও চারঘাট পৌরসভায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮১ জন করে। প্রতিটি পৌরসভায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০ দশমিক ৮১০ টন করে।

আর তালিকার নিচের দিকের থাকা গ-ক্যাটাগরির পুঠিয়া, তানোর, কাটাখালি, দুর্গাপুর, আড়ানী ও ভবানীগঞ্জ পৌর সভায় প্রতিটিতে ১ হাজার ৫৪০ জনেক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১৫ দশমিক ৪০০ টন করে।

শাহ মোহাম্মদ আরও জানান, গত মাসে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি শুরু হয়। ওই তালিকা অনুসারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় গত ৯ সেপ্টেম্বর চাল বরাদ্দ দেয়। এরপর দিনই তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও পৌরসভায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ঈদ-উল-আজহার আগেই সব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় চাল বিতরণ সম্পন্ন করা হবে বলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের প্রধান সহকারী শাহ মোহাম্মদ জানান।

তিনি জানান, বরাদ্দ পাওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো দুঃস্থদের তালিকা তৈরি করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা অনুমোদন করেছেন। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ চাল বিতরণ তদারকি করছেন। চাল বিতরণে অভিযোগ এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।


শেয়ার করুন