ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে শঙ্কা

1462794024এম.এ আজিজ রাসেল : ভালো ফলের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের অবগাহনের মধ্যেই খ্যাতনামা কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। জিপিএ-৫ পেয়েও আসন সংকটের জাঁতাকলে পড়ে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে না বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে সর্বোচ্চ ফল অর্জন করেও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে জেলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সদ্য উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের এমন দুশ্চিন্তার মধ্যেই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ মে। চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। আর ফল প্রকাশ হবে ১৬ জুন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী িি(.িীরপষধংংধফসরংংরড়হ.মড়া.নফ) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি আগের মতো টেলিটকেও খুদে বার্তা পাঠিয়ে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সুত্রে জানা যায়, গত বছরের মতো ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষর্থীরা কোন কলেজে ভর্তি হবে তা নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড। অনলাইনে শিক্ষার্থীর আবেদনের পছন্দক্রম থেকে জিপিএর ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করা হবে; যেখানে শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে। আর ভর্তির পুরো কাজটি হবে অনলাইনে। এ বছর একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ১০টি কলেজে একসঙ্গে পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে পারবে। গতবার পাঁচটি কলেজে পছন্দক্রম দেয়ার সুযোগ ছিল। সূত্র জানায়, এবার আবেদনকারী শিক্ষার্থীর জন্য মোট ১০টি কলেজের মেধাক্রম প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে।
শহরে ভালো মানের কলেজ আছে ৫টির মতো। এগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে প্রায় ৩ হাজার। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী ছুটবে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভাল কলেজগুলোতে। সেখানেও রয়েছে আসন সীমিত। পুরো দেশ থেকে এসে ভীড় জমায় রাজধানী ও চট্টগ্রামের মানসম্মত কলেজে। জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে ১২ হাজার ৮শ ৩৩ জন। এর মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১২শ ২৮ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬শ ১৭ জন। অন্যান্য বারের তুলনায় মেয়েদের থেকে জিপি-৫ এর দিকে ছেলেরা এগিয়ে। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৬ জন। মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬১। সব মিলিয়ে জেলা পাশের হার ৯১ দশমিক ২৭। বিজ্ঞান বিভাগে অংশগ্রহণ করে ২৬২২ জন। তার মধ্যে পাশ করেছে ২৫৩১ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪৮ জন। মানবিক থেকে ৫ হাজার ২শ ৩জন অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৪ হাজার ৫শ ৩৯জন। জিপিএ-৮জন। এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ৬ হাজার ২শ ৩৬ জন অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫ হাজার ৭ ৩৩ জন। জিপি-এ ৫ পেয়েছে ৬১ জন। স্বভাবতই সর্বোচ্চ ফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার দুশ্চিন্তা ভর করেছে।
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফারজানা বিনতে সিদ্দিকা জানায়, তার ইচ্ছা চট্টগ্রামে ভাল একটি কলেজে ভর্তি হওয়া। কিন্তু ভয় এক জায়গায়, যে হারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আছে, সে তুলনায় কলেজে আসন নেই।
আরেক শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, ২০১৫ সালে অনেকে ভালো ফল করেও নিজ পছন্দসই কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ পায়নি। ভালো কলেজে পড়ার সুযোগ হলেও সে তার বিভাগ পায়নি। তাকে বিজ্ঞান থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে চলে আসতে হয়। এবারো জিপিএ হার বেশি, বোঝা যাচ্ছে না কী হবে।


শেয়ার করুন