ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

imagesমো.আবুল বাশার নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি :

নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের অপর্কম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে স্মারকলিপি দিয়েছে একই মাদারাসার ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার ২৭ আগষ্ট দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্বশরীরে হাজির হয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবী জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার নিজ মেয়ের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ইতিপূর্বেকার সুপারের বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে সুপারকে বহিষ্কার করলেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু বক্কর ছিদ্দিকে বাচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন। স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে- পলাতক ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু বক্কর ছিদ্দিক মাদরাসার ছাত্রীদেরকে পরীক্ষায় এ প্লাস পাইয়ে দিবে, সরকারী চাকরীজিবী স্বামী দিবে, চাকরীর ব্যবস্থা করবে এবং গরীব অসহায় মেয়েদের বৃত্তির ব্যবস্থা করার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন।
এছাড়াও পলাতক ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু বক্কর ছিদ্দিক মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ৫৫জন শিক্ষার্থীর প্রতিজনের ভর্তি ফি বাবদ ৫২০ টাকা, প্রতিজন রেজিস্ট্রেশন ফি ৪০ টাকা ও সাত মাসের বেতনের প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা অফিসে জমা না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
মাদারাসার ক্যবিনেট চেয়ারম্যান ও ৮ম শ্রেণীর ছাত্র জয়নাল আবেদিন, সদস্য ১০ শ্রেণীর ছাত্র আবদুল খাইর, ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মো: আবুল কালামসহ আতিক উল্লাহ, নুরুল আমিন, আবদুল্লাহ জানান- মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীদের আপত্তির প্রেক্ষিতে তারা ভারপ্রাপ্ত সুপারের অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনও জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম বলেন- ‘‘আমি স্টেশনের বাইরে থাকায় স্মারকলিপিটি আমার হস্তগত হয়নি’’ তবে স্মারকলিপির অভিযোগের বিষয় রোববার খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।


শেয়ার করুন