ভারতে করোনায় আরও ৪১৯৪ প্রাণহানি

সিটিএন ডেস্কঃ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোবলে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। দেশটিতে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি এখন সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে এশিয়ার এই দেশটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৪ হাজার ১৯৪ জন মারা গেছেন।

আগের দিনের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কমলেও তা এখনও রয়েছে আড়াই লাখের ওপরেই।

শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জনের দেহে, যা শুক্রবারের তুলনায় প্রায় ২ হাজার কম। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ২৯০ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ১৯৪ জন। এতে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৫ জনে।

আগের দিন শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ হাজার ২০৯ জন মারা গেছেন। সে হিসাবে একদিন পর মৃত্যুর সংখ্যাটা কিছুটা কমে আসলেও পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।

গত মার্চ থেকে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, এরপর তা ব্যাপকহারে বেড়ে যায়। একইসঙ্গে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে, যদিও বিভিন্ন রুটের মাধ্যমে সেখানে ভাইরাস প্রবেশ করে।

এক্ষেত্রে ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল নানা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জারি রাখলেও, এপ্রিল থেকে সেখানেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়।

বাংলাদেশেও মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর তা বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

গত ২৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য ভারতের সঙ্গে স্থলবন্দরগুলো বন্ধ আছে। ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকবে।


শেয়ার করুন