ভারতীয় গরু : এ প্রতারণার প্রতিকার কি?

গোলাম মাওলা রনি

1419398387_gulam_3640-400x321গত কয়েকমাস ধরেও দেশে ভারতীয় গরু আসছিলো। ওদেশের কর্তারা বললো- জান দেবো তবু গরু মাতার ইজ্জত বিক্রি করবো না।
আমাদের দেশের মানুষজন দেশীয় গরুর মাংশের বর্ধিত মূল্য এবং আগামী দিনের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গরু উৎপাদন বাড়িয়ে দিলো। প্রায় সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিলো।
হঠাৎ দেখা যাচ্ছে- ঝাঁকে ঝাঁকে ভারতের গোমাতা, গো পিতা এবং গো পুত্রগণ দলে দলে আসছে। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের গরুর বর্ধিত বাজার মূল্য থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়া। অন্যদিকে, আগামী দিনে স্বয়ং সম্পূর্ন হবার লক্ষে যেসব খামারী কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলো তাদেরকে পথে বসিয়ে দেয়া।
ভারতীয় গো দালালরা আরো একটি সর্বনাশ করছে। তারা বলছে বাংলাদেশের গরুকে মোটা তাজা করার জন্য ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। ফলে এদেশীয় গরু ও মাংশে বিষ রয়েছে। কাজেই দেশীয় মোটা তাজা হৃষ্ট পুষ্ট গরুর মাংশ না খেয়ে ভারতীয় মৃত প্রায় হাড্ডিসার গরু খাও।
ভারতীয় গরু সাধারণত ৩ কাজে ব্যবহৃত হয়। গাভী দুধ দেয়। বলদ হাল চাষ করে এবং মাল টানে। এগুলো যখন বুড়ো হতে হতে প্রায় মরতে বসে তখন একধরনের মেডিসিন পুশ করে মাস খানেকের জন্য উজ্জীবীত করা হয়। তারপর পাঠিয়ে দেয়া হয় সীমান্তের ওপর পাড়ের গো খাদকগনের নিকট।


শেয়ার করুন