ভাঙা পড়বে ‘শৈবাল’ : চাকরী হারানোর আতংকে কর্মীরা

IMAG1149বিশেষ প্রতিবেদক : সরকারি পর্যটন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মালিকানাধীন হোটেল শৈবালের  ‘তলানি’ অবস্থা থেকে টেনে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ভাঙা পড়বে শৈবাল, গড়ে উঠবে ফাইভ স্টার হোটেল।
তেমন কোনো আকর্ষণ নেই পর্যটন হোটেল শৈবালের। সামনের দিক থেকে তাকালে এটি শুধু সরকারি কোনো স্থাপনা বলে মনে হবে। আবার পার্ক মনে করে অনেকেই এখানে ঢুকে পড়েন। অথচ একসময় শৈবালই ছিলো কক্সবাজার শহরের একমাত্র সবচেয়ে বড় ও তারকা মানের হোটেল। আর পর্যটন নগরীতে গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলগুলোতে দু’বছর পরপর পরিবর্তন আনা হলেও বিশ বছরে একটি চেয়ারও পরিবর্তন হয়নি শৈবালের।
জানা যায়, পর্যটন শিল্পের বহুমাত্রিক বিকাশের জন্য নতুন পরিকল্পনায় শৈবাল ঘিরে অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত করে ৮০০ কোটি টাকার পরিকল্পনায় এগুচ্ছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।
সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬টি বিচ ভিলা, ১৬৮টি পুল ভিলা, ২৬টি ওয়াটার ভিলা, বর্তমান শৈবালে একটি থ্রি-স্টার মানের হোটেল, ১৮ হোলের গলফ কোর্স, ক্লাব হাউস, ২৫০ কক্ষের পাঁচ তারকা মানের হোটেল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কক্সবাজারে পাঁচ তারকা মানের সব সুবিধা দিয়ে নতুন করে সাজবে হোটেল শৈবাল। আর পর্যটন হোটেল ‘প্রবাল’-এ হবে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট।
পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাইয়ে তাদের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ‘ফাইন্যান্সিয়াল অফার ওপেন’ করা হবে। এরপর থেকে ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।
তবে হোটেল শৈবালের এমন উন্নয়নের পাশাপাশি দু:শ্চিন্তার ছাপ দেখা গেছে হোটেলটির কর্মচারীদের মধ্যে। সরকারী এই প্রতিষ্ঠানটিতে এমনও অনেক কর্মচারী রয়েছে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসলেও এখনো রেগুলার ভিত্তিতে কাজ করছেন। অর্থাৎ সরকারী নিয়োগ ছাড়া চুক্তির ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে কাজ করছেন। এই সমস্ত কর্মচারীরা এখনো জানে না এই হোটেলটি ভাঙ্গা হলে তাদের কি হবে। তাই তারা চাকরী হারাওনার ভয়ে আতংকিত।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন বদলী আতংকে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা অনেক কর্মচারীরা তাদের পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বসবাস করছেন। কিন্তু হোটেলটি ভাঙ্গা পড়লে তাদের অন্যত্র বদলী করে দেয়া হবে।
বর্তমানে পর্যটন হোটেল শৈবালে সরকারী ও রেগুলারসহ মোট ৪২জন সদস্য রয়েছে।
হোটেল শৈবালের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক জানান, মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশনা আসলেই হোটেলর কাজ শুরু হবে। এখন পর্যন্ত নিশ্চত হওয়া যায়নি ঠিক কবে থেকে কাজ শুরু হচ্ছে। তবে কর্মচারীদের ব্যপারে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।


শেয়ার করুন