ব্যবহার হচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশের বডিওর্ন ক্যামেরা

fd24cf1e4792f24f904617f83d9ac511-311220141540-400x210সিটিএন ডেস্ক

শরীরেপরা ক্যামেরা (বডিওর্ন) ব্যবহার করছেন না ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। বিভিন্ন সমস্যার অজুহাতে ক্যামেরা পরিধান থেকে বিরত থাকায় এটি ব্যবহারের কোনো সফলতা পাচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। তবে সংস্থাটির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ক্যামেরা ব্যবহারে যথেষ্ট সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগে এ ক্যামেরার উদ্বোধন করেন তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ। পুলিশবাহিনীকে আধুনিকায়ন, পথচারী ও গাড়ির চলাচলসহ রাস্তার বিভিন্ন চিত্রধারণ এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সার্জেন্টদের শরীরে এ ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়। এসব ক্যামেরা দিয়ে টানা আট ঘণ্টা যে কোনো দৃশ্য রেকর্ড করাসহ অডিওধারণ করাও সম্ভব। ১৫টি ক্যামেরা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হলেও বর্তমানে ক্যামেরার সংখ্যা একশটি। আগামী অর্থবছরে আরও একশটি কেনার জন্য সুপারিশ করা হবে।

সূত্র জানায়, মামলা রেকর্ডের সময় নানা তদবিরসহ অপরাধ অস্বীকার করে ট্রাফিকের সিনিয়র কর্মকর্তাদের কাছে মিথ্যা বলে থাকেন অনেকে। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নানা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ক্যামেরার ব্যবহার শুরু হয়। এটি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য সফলতা না থাকলেও মামলার সংখ্যা বেড়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিং, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে কোনো ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বডিওর্ন ক্যামেরা পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তারা এ ক্যামেরা ব্যবহারে বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক সদস্য বলেন, ট্রাফিক পুলিশের মামলা রেকর্ড ছাড়াও সড়কে চলাচলরত যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ বহুবিধ কাজ থাকে। এছাড়া ক্যামেরাটি পরিধানের জন্য ব্যাকপেক যন্ত্র ও মাথায় আটকানোর জন্য অপর একটি যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। দায়িত্ব পালনের সময় একজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য পজ মেশিন ও মাথায় হেলমেট ব্যবহার করে থাকেন। এ কারণে ক্যারাটি শরীরের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ব্যবহারে কষ্টসাধ্য হওয়ায় ক্যামেরা পরিধান করা সম্ভব হয় না।

এসব বিষয়ে ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ক্যামেরা ব্যবহারে যথেষ্ট সফলতা রয়েছে। এছাড়া এটি ব্যবহারে মামলা রেকর্ডের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই ট্রাফিক সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনের পর ক্যামেরার রেকর্ডগুলো সংশ্লিষ্ট ডিসিদের কাছে জমা দেন। এরপর রেকর্ডটি দেখে ডিসিরা ট্রাফিক পুলিশদের ব্রিফ করেন। সফলতা পাওয়ায় ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ক্যামেরাটি পরিধানে কিছু সমস্যা থাকতে পরে। তবে এটি পরিধান করতেই হবে। যদি কোনো সদস্য এটি পরিধান না করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : মোশাররফ বাবলু


শেয়ার করুন