বোয়িং চলাচল উদ্বোধন

বোয়িংয়ে চড়ে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার আসলেন প্রধানমন্ত্রী

aw1hz2utmzeznzkuanbnসুপরিসর উড়োজাহাজ বোয়িংয়ে চড়ে প্রথমবারের মতো কক্সবাজার গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে পর্যটন নগরীতে বড় উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হল।

শনিবার সকালে দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালাল থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। এই যাত্রাপথে তিনি ব্যবহার করেন বিমানের বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন এইট জিরো জিরো মডেলের মেঘদূত। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী পৌঁছেন পর্যটন নগরীতে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়ে ব্যবহার উদ্বোধন হল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধের জন্য নির্মিত বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এতদিন সর্বোচ্চ ৭৪ আসনের উড়োজাহাজ ও কার্গো উড়োজাহাজই এ বিমানবন্দরে ওঠানামা করত।

কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী এবং মহেশখালীকে বিনিয়োগের ‘হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরুর লক্ষ্য নিয়ে সরকার এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার কাজ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবেই চালু করা হয়েছে নতুন এই রানওয়ে।

বরণ ঢালা সাজিয়ে সরকারপ্রধানকে কক্সবাজারে সাদরে বরণ করে নিতে আগে থেকেই প্রস্তুত জেলাবাসী। টানা দুইবার সরকার গঠনের পর এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সপ্তমবারের মতো কক্সবাজার সফর।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কপ্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। ৮০ কিলোমিটারের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক চালু হওয়ার পর এখানকার পর্যটন শিল্পে যোগ হবে আরেকটি অপার সম্ভাবনা। এতে করে যেমনিভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ কমবে ঠিক তেমনি একদিকে সাগর আর অন্যদিকে পাহাড়ের মাঝখানের এই সড়ক দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই সড়ক নিয়ে আসবে অন্য এক সম্ভাবনা। পাশাপাশি বিকালে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন, উন্মোচন

সফরসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ মে শনিবার বিমানযোগে সকাল ৯.৪০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে সুপরিসর সেভেন থ্রি সেভেন-এইট জিরো জিরো বোয়িং বিমান চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

বেলা ১১.৩০ মিনিটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনস্থ সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সদ্যসমাপ্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান।

এছাড়া দুপুর ২.৪৫ মিনিটে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস, কক্সবাজার সরকারি কলেজের একাডেমিক ভবন কাম এক্সামিনেশন হল, কক্সবাজার সরকারি কলেজের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবন ও মহেখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনের উদ্বোধন করবেন।

তাছাড়া একই স্থান থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়), এলজিইডি অংশ এর আওতায় বাকখালী নদীর উপর খুরুস্কুল ঘাটে ৫৯৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি বক্সগার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন এসপিএম প্রকল্প, নাফ ট্যুরিজম পার্ক, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবনের।

এরপর বিকাল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন দলটির প্রধান শেখ হাসিনা।

……ফাইল ছবি


শেয়ার করুন