পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের মানববন্ধন

বেতনভাতা ও পেনশন সুবিধা দিন

Pauraসিটিএন :

সারাদিন কাজ করেও কেন আমরা বেতন বৈষম্যের শিকার হবো? চাকুরী শেষে আমরা খালি হাতে বাড়ী ফিরতে চাইনা। আর কোন অবিচার নয়। অন্যদের মতো আমরাও দু’মুঠো ভাত খেতে চাই। আমাদের চাকুরী সরকারী রাজস্বভুক্ত করুন। বেতনভাতা ও পেনশন সুবিধা দিন।’
১০ মে মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের মানববন্ধন থেকে এ দাবী দেয়া হয়।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণসহ বেতনভাতা ও পেনশন সুবিধা সরকারী রাজস্ব তহবিল হতে প্রদানের দাবীতে কক্সবাজার পৌরসভার সামনের সকড়জুড়ে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন চাকুরী করার পর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন খালি ঝুড়ি নিয়ে বাড়ী ফিরবে? তাদেরও তো পেঠ আছে, বৌ-বাচ্চা নিয়ে শান্তিতে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আর অবিচার নয়, তাদের ন্যায্য অধিকার দিন।
অন্যথায় নিজেদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনে নামলে সরকারকে বেকায়দায় পড়তে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Pau

পৌরসভার বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা কবি শামীম আকতারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পৌর সচিব মোঃ শামসুদ্দিন, পৌরপ্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, পৌরসভার কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু মোরশেদ, বিল ক্লার্ক মো. আব্দুল্লাহ, কনজারভেন্সি পরিদর্শক কবির হোসাইন, মহেশখালী পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আবু তাহের প্রমুখ।
মানববন্ধনে জানানো হয়, ১৯৭২ সালে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় পৌর কর্মচারীদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলভুক্ত করার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের সভায় পৌরসভা সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন সরকারী তহবিল থেকে প্রদানের অঙ্গীকার করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এতে আরো জানানো হয়, সারাদেশের ৩২৫টি পৌরসভায় ২৫ হাজারেরও বেশী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। চাকরী রাজস্ব না হওয়াতে তাদের অনেকেরই জীবনচলা দুর্বিষহ হয়ে ওঠছে। তারা যেকোন মূল্যে চাকরী জাতীয়করণ হওয়া চায়।
মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশনের কর্মসুচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ সময় পৌরসভার বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন