চকরিয়া-মহেশখালী

বৃষ্টি উপক্ষো করে শেষ সময়ের ঈদের কেনাকাটা

chakaria 1 pic-05.07.16এ.এম হোবাইব সজীব :

বৃষ্টি উপক্ষো করে পছন্দের পোশাক খোঁজে বিপনিকেন্দ্র থেকে শুরু করে ফুটপাত সবখানে এখন ক্রেতার ভিড়। পুরুদের চেয়ে মহিলা ক্রেতাদের ভিড় সবচেয়ে বেশি। আর মাত্র ১ দিন পরেই বৃহস্পতিবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধমীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবে গোটা দেশ। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বৃষ্টির কারনে কিছুটা মানুষ নাকেল হলেও কক্সবাজারে চকরিয়া-মহেশখালী পৌর এলাকার বিপনীবিতান থেকে শুরু করে ফুটপাত গুলোতে এখন চলছে কেনাকাটার হিড়িক। ঈদকে সামনে রেখে চকরিয়াও মহেশখালীর উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ম আয়ের মানুষ সবাই এখন কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চিরিংগা পৌর শহরে এবং মহেশখালী পৌরসভার গোরগাটা বাজারের। ক্রেতা আকর্ষণে চিরিংগা পৌর শহরে শপিংমলগুলোতেও করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
আজ মঙ্গলবার চকরিয়া পৌর শহর ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা সমাগম থাকায় চিরিংগার বিপনী বিতান গুলো এখন মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকছে। ধুম লেগেছে কেনাকাটার। চকরিয়া পৌর শহরের ওশান সিটি, সিটি সেন্টার, আনোয়ারা শপিং কমপ্লেক্স, নিউ মাকের্ট, রূপালী শপিং কমপ্লেক্স, রওশান মাকের্ট, হাজেরা শপিং সেন্টার, রূপজাহান প্লাজা, বাবুল শপিং কমপ্লেক্স, সোসাইটি মাকের্ট, সমবায় সমিটি মাকের্টে রয়েছে ছোট-বড় অন্তত এক হাজার পোশাক ও পাদুকার দোকান। প্রতিটি দোকানে এখন উপচেপড়া ভিড়। কথা হয় ওশানসিটি মাকের্টে কেনাকাটা করতে আসা চকরিয়া পৌরসভা ফুলতলা এলাকার সাবিনা বেগমরে সঙ্গে। তাঁর হাতভর্তি নানা পোশাকের প্যাকেট। তিনি বলেন, নিজের শাড়ি ও পরিবারে ছোট-বড় সবার জন্য ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকার পোশাক কিনেছেন। এখনো কিছু বাকি আছে। হাজেরা শপিং সেন্টারের মনে রেখ ক্লথ ষ্টোরের মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতদিন গড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শেষ মূহুর্তে বুধবার বিক্রি আরও বাড়বে। মহেশখালী পৌরসভা মার্কেট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
অপরদিকে চকরিয়া- মহেশখালী পৌরসভা দোকানিরা বলেন, মেয়েদের শাড়ি এবার বিক্রি বেশি কাতান, জামদানি, মসলিন ও সূতি। তরুনীদের পছন্দ লেহেঙ্গা ও সালোয়ার-কামিজ। ছেলেদের চেয়ে নারীদের ভীড় লক্ষনীয় তবে বেশি ভাগ ক্রেতার আগ্রহ ভারতীয় পোশাকে। প্রশাসনের পক্ষে থেকে নিরাপত্তায় চকরিয়া- মহেশখালী পৌর শহরের বিপনীকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের পাহারা বসানো হয়েছে।


শেয়ার করুন