বৃষ্টিতে ভোগান্তি বিনোদনপ্রেমিদের

ctgসিটিএন ডেস্ক:

সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। বৃষ্টির কারণে ফিকে হয়ে উঠেছিল ঈদের আনন্দ। কিন্তু বিকেলে সামান্যের জন্য বন্ধ হয়েছিল বৃষ্টি। আর এ বৃষ্টি বিরতিতে নগরীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছে বিনোদনপ্রেমীরা। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব মানুষের উপস্থিতি ছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে ফের বৃষ্টি শুরু হওয়াতে ফাঁকা হয়ে যায় বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
আর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল বিনোদনপ্রেমীদের।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বৃষ্টি বিরতিতে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল, প্রজাপতি পার্ক, আগ্রাবাদ ও কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক, ফয়েসলেক ওয়াটার পার্ক, চিড়িয়াখানা, সিআরবি মোড়, রেলওয়ে জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘর, বাটালি হিল, ডিসি হিল, ভাটিয়ারী পাহাড় পার্ক, বিপ্লব উদ্যান, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, ওয়ার সিমেট্রি ও স্বাধীনতা পার্কে ভিড় জমিয়েছে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। ধনী-গরিব সবাই আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব একে-অন্যের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে জড়ো হয়েছিলেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী ও প্রেমিক যুগলের সংখ্যা ছিল একটু বেশি। তবে সন্ধ্যায় বৃষ্টির কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো ফাঁকা হয়ে যায়।
ঈদ উপলক্ষে বাস সার্ভিস কম থাকার সুযোগে রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেছে কয়েকগুণ বেশি। যানবাহনের মধ্যে যে যেটা পাচ্ছে তাহা নিয়েই রওনা দিচ্ছে। ফলে রাস্তায় খালি যানবাহনের সংখ্যা ছিল না বললেই চলে। এছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোর আশে পাশের দোকানগুলোতে উচ্চ মূল্যে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির অভিযোগও করেন দর্শনার্থীরা।
ফয়’স লেক ওয়াটার পার্কে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে এসেছিলেন বন্দরের কর্মকর্তা মো.শহীদুল আলম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সি-ওয়ার্ল্ডে এসেছি। ঈদের সময় হিসেবে প্রতিটি রাইডের টিকিটের দাম বেশি। তবে অন্যান্য বারের মতো মানুষের ঝামেলা না থাকায় এখানকার নিরিবিলি পরিবেশ খুব উপভোগ করছি। এখন মনে হচ্ছে কাজের ভিড়েও মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসা উচিত হবে।’
ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের সহকারী ব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে যায়নি তারা ফয়েসলেকে ভিড় করে। নগরীর বাইরে থেকেও লোকজন আসে। তবে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় লোকসংখ্যা কম হয়েছি। বিকেলের দিকে মানুষ হলেও সন্ধ্যায় ফের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাধ্য হয়ে ফয়েসলেক ছাড়তে হয়েছে বিনোদন পিপাসুদের।
শনিবার সি ওয়ার্ল্ডে মোট দেড় হাজার মানুষ বিভিন্ন রাইডে সময় কাটিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে উপচেপড়া ভিড় ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। শিশু, কিশোর-কিশোরী থেকে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ সৈকতে আনন্দে মেতে উঠেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সপরিবারে বেড়াতে আসা গৃহিণী শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে বের হওয়ার সময় খুব একটা হয় না। তবে সবাই একসঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পেরে খুশি তারা। আর তাদের খুশি মানেই আমাদের খুশি।’


শেয়ার করুন