বৃষ্টিতে ‘পণ্ড’ তৃতীয় সেশন

tamim-mahmudulllahদুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি স্বপ্নের মতো কেটেছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের মাত্র ২৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৭ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। বুধবার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন। তবে দ্রুত ইমরুল ও মুমিনুল ফিরে গেলে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা।

এরপর মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে প্রোটিয়ারা। মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার একটু পরই বৃষ্টি নামে। ৩টা ১৭ মিনিটে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় ৪টা ৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়। কিন্তু এক বল হওয়ার পরই ফের বৃষ্টি নামলে দুই দলের খেলোয়াড় ও আম্পায়াররা মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির কারণে দুই আম্পায়ার দ্বিতীয় দিনের খেলার ইতি টানেন।

দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখেশুনে খেলেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তবে হঠাৎ ধৈর্যচ্যুতি ইমরুল কায়েসের। স্টিয়ান ফন জিলের বলকে এগিয়ে গিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন ইমরুল কায়েস। দুর্দান্ত দৃঢ়তায় স্ট্যাম্পিং করে ইমরুলকে সাজঘরে ফেরান তিনি।

এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মুমিনুল হকও। মাত্র ৬ রান করে সিমন হার্মারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই দুজনের বিদায়ের পর তামিম ও মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। তবে পার্ট-টাইম বোলার ডিন এলগারের বলে তামিম আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ ফের চাপে পড়ে। এলগারের ফুলটস বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তামিম (৫৭)। এলগারের বল লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে সাজঘরের পথ ধরেন চট্টগ্রামের ছেলে।

তামিমকে হারানোর পর অবশ্য মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুর্দান্ত খেলছিলেন এই দুজন। কিন্তু ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে মাহমুদুল্লাহ (৬৭) লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরলে ফের হোঁচট খায় টাইগার শিবির।

টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৯ রান। মুশফিকুর রহিম ১৬ ও সাকিব ১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।

দ্বিতীয় দিনের খেলার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক ও তামিম ইকবালের মধ্যে কোনো একটি ব্যাপার নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় হয়। এসময় আম্পায়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড়রা তামিম ও ডি কককে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং দুজনকে আলাদা করে দেন।

প্রোটিয়াদের ২৪৮ রানে আটকে রাখার দুই কুশীলব মুস্তাফিজুর রহমান ও জুবায়ের হোসেন। মুস্তাফিজ ৪টি ও জুবায়ের নেন ৩টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সাকিব, তাইজুল ও মাহমুদুল্লাহ।

প্রোটিয়াদের হয়ে টেম্বা বাভুমা ৫৪, ডু প্লেসিস ৪৮ ও ডিন এলগার করেন ৪৭ রান। ৩৪ রান আসে ফন জিলের ব্যাট থেকে।

চট্টগ্রাম টেস্টের দল থেকে শুভাগত হোম চৌধুরী ও সৌম্য সরকার বাদ পড়েছেন। এই দুজনের পরিবর্তে যথাক্রমে মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলে ঢুকেছেন। পেসার রুবেল হোসেনও একাদশে জায়গা পাননি। তার পরিবর্তে মোহাম্মদ শহীদের ওপরই আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।

বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক) তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, জুবায়ের হোসেন, লিটস দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ শহীদ, মুমিনুল হক, মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম।

দক্ষিণ আফ্রিকা দল: ডিন এলগার, ফন জিল, ফ্যাফ ডু প্লেসিস হাশিম আমলা, টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক, জেপি ডুমিনি, ভারনন ফিল্যান্ডার, ডেল স্টেইন, সিমন হার্মার ও মরনে মরকেল।


শেয়ার করুন