‘বুলেটকন্যা’র চিকিৎসায় ১০ ডাক্তার

download (1)সিটিএন ডেস্ক:

মাগুরায় যুবলীগের দলীয় কোন্দলে মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশুটির চিকিৎসায় গড়া মেডিকেল বোর্ডে আরও দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে এ বোর্ডের সংখ্যা দাঁড়াল দশে।
চিকিৎসকদের দেওয়া নাম ‘বুলেটকন্যা’র দায়িত্বে থাকা শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাদিকা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়ালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগের ৮ সদস্যের বোর্ডে প্রধান ছিলেন শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আসরাফ উল হক কাজল। তবে ১০ সদস্যের বোর্ডে প্রধান করা হয়েছে নবজাতক ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লাকে।
ডা. কানিজ হাসিনা জানান, শুক্রবার রাত থেকে শিশুটিকে মায়ের দুধ টিউবের মাধ্যমে দুই ঘণ্টা পর পর ২ এমএল করে খাওয়ানো হচ্ছিল। তবে শিশুটি বমি না করায় দুপুর থেকে ৫ এমএল করে খাওয়ানো হচ্ছে।
মাগুরা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচন নিয়ে শিশুটির চাচা যুবলীগ নেতা ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে অপর প্রার্থী আজিবর আলীর দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরেই ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় কামরুলের বাড়িতে হামলা চালান আজিববরের লোকজন। এতে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে কামরুলে ভাবী অন্তঃসত্ত্বা নাজমা আক্তার (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ নাজমাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।
এ ঘটনায় নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ ও বোমায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে পরদিন মারা যান।


শেয়ার করুন