বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির কোরআন বাংলাদেশে

2016_07_03_23_05_29_Cl4INwXxxeGKfuj7DLLDUL9kcAEWSL_originalসিটিএন ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র আকারের পবিত্র কোরআনের সন্ধান মিলেছে বাংলাদেশে। রাজধানীর ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেই এর সন্ধান মিলেছে। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ১ ইঞ্চি, অর্থাৎ ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার।

বায়তুল মোকাররমে হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবনীর উপর মাসব্যাপী তথ্যচিত্র, ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনীতে ক্ষুদ্রাকৃতির ওই কোরআন প্রদর্শিত হয়।

কোরআনের এ কপিটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। রাজধানী ঢাকার উত্তর মুগদা পাড়ার জহির ‍উদ্দিন আহমদের কাছ থেকে এটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন সংরক্ষণ করে।

এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কোরাআনের কপিটি ছিল পাকিস্তানের জাদুঘরে। যার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। এবার পাকিস্তানের ওই রেকর্ডকে ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশে কোরআনের যে কপিটি পাওয়া গেছে তার দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। পাকিস্তানের সেই কোরআনের চেয়ে তা দশমিক ৬ সেন্টিমিটার ছোট।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বাংলামেইলকে জানান, বাংলাদেশে থাকা এই পবিত্র কোরআন শরীফের দৈর্ঘ্য মাত্র ২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ দশমিক ৭৫ ইঞ্চি, উচ্চতা দশমিক ৭ মিলিমিটার এবং ওজন মাত্র ২ দশমিক ৩৮ গ্রাম। যেটি উত্তর মুগদা পাড়ার জহির ‍উদ্দিন আহমদের কাছে পাওয়া গেছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছুই তিনি জানাতে পারেননি।

এদিকে এক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর কাছেও কিছুদিন আগে ছোট কোরআন শরীফের সন্ধান পাওয়া যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই নাগরিকের কাছে রক্ষিত আল কোরআন পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট এবং প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো বলেও দাবি করা হয়।

ওই কোরআন শরিফটি উচ্চতায় ৫ দশমিক ১ এবং প্রস্থে ৮ সেন্টিমিটার। এতে পৃষ্ঠা আছে ৫৫০টি। কোরআনের ক্ষুদ্রতম এই কপিটি পাওয়া গেছে জেরুজালেমে আল কুদসের কাছে। কোরআনটির হেফাজতকারীর নাম আমিল ঈসা। বংশপরম্পরায় কোরআনের এ ক্ষুদ্রতম কপির মালিক হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এর কিছুদিন পরেই সন্ধান পাওয়া যায় পাকিস্তানের জাদুঘরে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির কোরআনটির।


শেয়ার করুন