বিশুদ্ধ পরাজয়

আতিক সুজন

আমি হঠাৎ “না” রচনা করিনা। সুদীর্ঘ সময় যাপনের পর আমার “না” রচিত হয়। একবার না হয়ে গেলে সে “না” চির অবিনাশ…। মনুষ্য চারিত্রিক দোষ যখন ভাবি ঠিক তখনি স্থিত বিশ্বাস টুটে যায় ; আমি দেখি মানুষ কি প্রকারে নিজেকে লুকিয়ে শঠকতা প্রদর্শন করে, চেয়ে চেয়ে দেখি আর নিরবে হাসি। অনেকের মত আমারও ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় শক্তিধর। কারো অবজ্ঞা খুব বুঝতে পারি, বলিনা- কারণ আমি যেমন অন্ধমায়াপূঁজারী; তেমনি নির্বোধ দুঃখবিলাশী। এর মাঝে কোনো ত্যাগের মহিমা নেই পুরোটাই শখের ভয়াবহতা। পাবেনা জেনেও যারা ভালোবাসে, নিশ্চিত শূন্যে যারা ঘর বাঁধে, কেবলী অশ্রুবর্ষণের লোভে যারা মন সাধে আমি তাদেরই একজন। মন ভাঙা সেই পাড়ের উদলা দেউরী তেমনি রয়ে গেল, নয়ন যমুনার স্রোতধারা আমরণ এভাবেই বয়ে চলবে…কেননা আমার মত করে শুদ্ধমায়া আমার জন্যে এ জন্মে নেই…নিশ্চই রয়ে গেছে সে পরের জন্মের তরে। অরূপচাষী বুকের উর্বর জমিনে যত কর্ষণ করুক ; আমি তো জানি কখনো সে বীজ বুনন করবে না। সব বিলিয়ে দিয়ে আদিগন্তে আমার প্রসারিত দু,হাত কেবলী ডেকে যায়… আয় আয়রে শুদ্ধমায়া বয়ে আয় ; চেয়ে দেখ মেঘলা নীল অন্তর একটু সুখের আশায় অনূনয়ের কত কত সুরে ডেকে যায়…। অনেক হেসেছি জীবনে, আজও নির্মল হাসির জন্য আমার আমিটা বড্ড লোভাতুর। আমি মিথ্যা এড়িয়ে চলি, যদিও মিথ্যুক এড়ানোর সাধ্য আমার আজও জন্মেনি। আমি স্বভাবে মহত্ব প্রতিপালন করি জানি তাতে বোকার রাজ্যে আমার বসতলীলা স্থায়ী হতে থাকে- হোক। একদিন যেন আমার বিশুদ্ধ পরাজয় দেখতে পেয়ে পরমানন্দে হেসে ওঠতে পারি..


শেয়ার করুন