বিনিয়োগে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ, বাধা দুর্নীতি: যুক্তরাজ্য

114889_1বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে যুক্তরাজ্য। তবে এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে দেশটি। ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট’ শীর্ষক সরকারি এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদনটি। মূলত বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের ধারণা ও পরামর্শ দিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে ৫.৩ ভাগ হারে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীল ক্রেডিট রেটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজার রয়েছে। গত এক দশরে দারিদ্র্য অর্ধেক কমেছে। পাঁচ বছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে চারগুণ।

বৃটিশ পণ্যের ওপর বাংলাদেশি ভোক্তাদের আস্থা রয়েছে। পণ্য, যন্ত্রপাতি এবং সেবার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ব্যবহারও যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক দিক।

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। এজন্য অবকাঠামো খাতে, দক্ষতা উন্নয়নে এবং বাণিজ্যে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকার ২০২১ সালের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলোর সহযোগিতা চায় সরকার।

ফলে দেশটিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ কার্যক্রম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে এ খাতগুলোতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা উল্লেখ করা হয়।

তবে প্রতিবেদনে বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘স্পিড মানি’কে (অনানুষ্ঠানিক অর্থ প্রদান বা ঘুষ) বড় ধরনের বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি নিত্যদিনের সমস্যা। দেশটির রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহার করে। রয়েছে স্বচ্ছতার অভাব এবং আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি।

এছাড়াও বাংলাদেশের বাজারকে মূল্য সংবেদনশীল উল্লেখ করে একে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত থেকে আসা স্বল্পদামের পণ্য অনেক সময় বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে।

এতে পণ্যের গুণগত মান, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়, প্রশিক্ষণ এবং বিক্রয়োত্তর সেবার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার পরামর্শ দেয়া হয়।


শেয়ার করুন