বিনাশের রাজনীতি চললে উগ্রবাদীরা মাথা চাড়া দেবেই

rijvivai_119451সিটিএন ডেস্ক :

ঢাকা: জঙ্গিবাদের মতো জাতীয় সমস্যার সমাধান সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব বলে মনে করছে বিএনপি।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনীতিতে বিনাশ ও ব্যবধানের চর্চা চলতে থাকলে কোনো না কোনো রূপে উগ্রবাদীরা মাথা চাড়া দিবেই।

রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

ঈদের আগে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, “এবারের ঈদ উৎসব প্রতিবারের মতো মানুষকে উচ্ছ্বসিত করতে পারেনি। জঙ্গিবাদের নামে দুষ্কৃতকারীরা দেশি-বিদেশি নারী-পুরুষকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে অরাজকতা দেশে নামিয়ে এনেছে, তা মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।”

রিজভী অভিযোগ করেন, “জঙ্গিবাদ নির্মূলে সমন্বিত প্রচেষ্টা দূরে থাক, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে উগ্রবাদী দুষ্কৃতকারীদের শিকড় সন্ধান এবং তা নির্মূল করার কোনো দৃষ্টান্ত এখনো জনগণের কাছে দৃষ্টিগোচর করতে পারেনি। বরং তারা চিরাচরিত বিরোধী দলের প্রতি দোষারোপের খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।”

জঙ্গিবাদ নয়, সরকার বিএনপিকে নির্মূল করার পুরনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আসলে সরকারের কর্মকাণ্ডে সুস্পষ্ট যে বর্তমানে উগ্রবাদী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার পথ প্রদর্শক হচ্ছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। এরা ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তিকে জিইয়ে রাখতে চাচ্ছে। কারণ এদের রক্তক্ষয়ী কর্মকাণ্ডের দিকে জনগণের দৃষ্টি নিবন্ধ থাকলে অবৈধ সরকারের প্রতি পদত্যাগের চাপ কমে যাবে।”

সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই জঙ্গিবাদের সমস্যা সমাধান সম্ভব, এমন দাবি করে রিজভী বলেন, “এই মুহূর্তে জরুরি নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। সরকারের উচিত পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথ সুগম করা।”

এ সময় রিজভী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা কাশীমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালীউল্লাহকে ঢাকায় আসার পথে দেবহাটার পারুলিয়ায় বাস থেকে নামিয়ে পুলিশ রাত তিনটার দিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি এর নিন্দা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।


শেয়ার করুন