বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর ব্যাপারে অনুসন্ধান করবে না দুদক

gggggggggggg-400x266সিটিএন ডেস্ক

অবসরে যাওয়া বিচারপতি এএইচএম সামসুদ্দিন চৌধুরীর ব্যাপারে অনুসন্ধান করবে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের এই ব্যাপারে অনুসন্ধান করারও কোন এখতিয়ার নেই। এই তথ্য জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি বলেন, দুদকের তফসিলের কোথাও দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে অনুসন্ধান করার কিংবা করা যাবে এমন কোন এখতিয়ার আমাদের দেওয়া হয়নি। এই কারণে চাইলেও সেটা করা যাবে না।

তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরীর ব্যাপারে কোন অভিযোগও পাইনি।

একজন আইনজীবী তার ব্যাপারে একটি অভিযোগ বুধবার আপনাদের দুদকের কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে বলেছেন, তিনি বলেন, আমরা বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরীর ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। সেটা পেলে আমাদের কাছে আসবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আসলেও এটাই জানিয়ে দেওয়া হবে এই ব্যাপারে এখতিয়ার নেই।

সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরীর দ্বৈত নাগরিকত্বর অভিযোগ ও তিনি এই নাগরিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ও বৃটিশ সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন বলেও শুনা যাচেছ। কিন্তু সেটা শুনা গেলেও আমরা এই ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে কোন কিছু করতে যাবো না।

বুধবার আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দৈত নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য গোপন করার অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী (জুনু)। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুকক) এই অভিযোগ দয়ের করেন। সেখানে তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম সামসুদ্দিন চৌধুরী দ্বৈত নাগরিক হিসেবে ব্রিটিশ সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। পক্ষান্তরে হাইকোর্টের এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় কাগজপত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনো তথ্য না দেওয়ায় দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে বিচারপতি পদে নিয়োগ লাভ করেন। এটা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক বঙ্গভবনে গিয়ে বিচারপতি মানিকের জাজশিপ প্রত্যাহার করার আবেদন করেন।

সামসুদ্দিন মানিক তার দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কথা স্বীকার করেই গণমাধ্যমে বলেছেন, অনেকেরই আছে। এ ধরনের ঘটনায় উত্তর দেয়ার কিছু নেই। উত্তর দেয়া মানে নিজেকে অনেক নিচে নামিয়ে আনা।

দুদক কমিশনার বলেন, তার ব্যাপার বলে কথা নয় দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারের অন্য কোন অথ্যরিটি কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখতে পারে। কিন্তু আমরা দেখতে পারবো না।

তার ব্যাপারে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোন অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরনের কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা এই ব্যাপারেও কিছু করার কথা ভাবছি না।


শেয়ার করুন