বিএনপি-জামায়াতকেই দুষলেন প্রধানমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী

PM-Nahidসিটিএন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যাতে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার ও সর্বোচ্চ ফলাফল জিপিএ-৫ হার কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যাও।

২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৬৯.৬০ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৭৮.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ পাসের হার শতকরা ৮.৭৩ শতাংশ কমেছে। মেধা নির্ধারণের মাপকাঠি জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২ হাজার ৮৯৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার ৬০২ জন। ফলে গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে ২৭ হাজার ৭০৮ জন।

বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যেই গত ১ এপ্রিল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তবে সে সময় ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন নগর নির্বাচনের ডামাঢোলের কারণে অনেকাংশেই শিথিল ছিল বিরোধী জোটের ওই আন্দোলন কর্মসূচি। কিন্তু তারপরও ফলাফল বির্পযয়ের জন্য ওই রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই দুষেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার কমে যায় ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা কমে যায় ৩১ হাজার ৩৭৫ জন। ওই সময়ও সরকার প্রধান ও শিক্ষা প্রশাসনের প্রধান- উভয়ই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দুষেছিলেন।

ফলাফলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট যদি আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও না করতো তাহলে হয়তো আমাদের পাসের হার আরো বাড়তো। এ প্রতিকূল অবস্থায় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে, পাস করেছে এটাই বড়। আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’

পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল হস্তান্তরকালে বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবারের পরীক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করতে পারেনি। সেই সঙ্গে বাড়তি ক্লাস তো দূরে থাক। আর এসব কারণ ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। তবে পাসের সার্বিক হার কমলেও, মূলে পিছিয়ে যায়নি। কারণ বিজ্ঞান, কারিগরি ও ছাত্রীদের ফলাফল গতবারের তুলনায় ভালো হয়েছে। আমরা অনেক বাধার সম্মুখিন হয়েছি। তারপরও এ ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট।’

পাসের হার কমে যাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী কথা বলার পরই পোয়াবারো হয়ে ওঠে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এরপর থেকে তারা বলতে শুরু করেন, ওই তিন মাস যদি রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে না হতো, তাহলে পাসের হার ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতো।


শেয়ার করুন