বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না জামায়াত

বিএনপি-জামাত-400x225সিটিএন ডেস্ক:

বিএনপির সঙ্গে বেশকিছু দিন ধরে যোগাযোগ নেই জামায়াতের। ২০ দলীয় জোটের নেতৃত্বাধীন দল বিএনপি পৌরসভার মতো ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) জোটগতভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও এর সঙ্গে এখনো একমত প্রকাশ করেনি জামায়াত। জোটের শীর্ষ নেতা এবং মহাসচিবদের বৈঠকেও অংশ নিচ্ছে না জামায়াত। দল দুটির এই টানাপড়েন অনেক দিনের পুরনো হলেও এবার তা দৃশ্যমান হচ্ছে। জামায়াত ছাড়াও এলডিপিসহ জোটের আরও বেশ কয়েকটি শরিক দল এখনো ইউপি নির্বাচনের ব্যাপারে ঐকমত্যে আসেনি।
গত শুক্রবার জোটের মহাসচিবদের বৈঠকেও তারা অংশ নেয়নি। অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জোটগতভাবে ইউপি নির্বাচনের কথা বললেও কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সমন্বয়ের কথা বলেননি। রবিবার রাতে স্থানীয়ভাবে জামায়াত, বিজেপি, এলডিপিসহ শরিক দলগুলোকে ১৫টি ইউনিয়নে ছাড় দেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও জামায়াত এতে সাড়া দেয়নি। কারণ এ কয়টি ইউনিয়নে প্রার্থী সংকটে ছিল বিএনপি। সে জন্য তারা শরিক দলগুলোকে এই ইউনিয়নগুলো ছাড় দিতে চাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে রংপুর ও বগুড়াসহ বৃহত্তর কয়েকটি জেলায় জামায়াত পৃথকভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে পৌর নির্বাচনেও বিএনপির পক্ষ থেকে জোটগতভাবে অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত জামায়াত ২৮টি পৌরসভায় স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়ে ৭০টিরও বেশি কাউন্সিলর এবং ২টি মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিল। তবে তার মধ্যে ১৫টি পৌরসভায় খুব কাছাকাছি ভোটে পরাজিত হন জামায়াত প্রার্থীরা। এবার অন্তত কয়েক ডজন পদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে বলে আশাবাদী জামায়াত। তাই সমঝোতা দূরের কথা, এখনো বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগই করেনি। এবারও জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি শরিক দল স্বতন্ত্রভাবেই ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে এবং পৌর নির্বাচনের মতো এবারও আগের অবস্থানেই রয়েছে এই শরিক দলগুলো।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান জানান, বরিশাল সদর উপজেলার ৫ নং চরমোনাই ইউনিয়নে তার দলের প্রার্থী এম আবদুর রাজ্জাক রাজুর জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিএনপি ছাড় না দিয়ে সেখানে নিজে দলের প্রার্থী আবদুস সালাম রাড়ীকে মনোনয়ন দিয়েছে। ফলে সেখানে তার দলের প্রার্থীও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়নের বিষয়টির সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, স্থানীয় পর্যায়ে জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও সমন্বয় করা হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সমন্বয়ের কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ নিয়ে শরিক দলগুলোর নেতাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। তবে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এখনো আশা ছাড়েননি। তার বিশ্বাস বিএনপি তার দলকে কিছু না কিছু ইউপিতে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই ছাড় দেবে। তবে জোটের এক শরিক দলের মহাসচিব গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত জোটের মহাসচিবদের বৈঠককে ‘আই ওয়াশ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আগামী ২২ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বেশির ভাগ ইউপিতেই জোটের শরিক দলের প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন


শেয়ার করুন