বিএনপির প্রতিক্রিয়া: নতুন ইসি দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়

নতুন নির্বাচন কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই কমিশন গঠনে তারা হতাশ ক্ষুব্ধ। এই কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার রাতে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বেঠকের পর নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল একথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠকটি হয়।

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) আওয়ামী লীগের অনুগ্রহভাজন হিসেবে আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে। তবে তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।’

লিখিত প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘নতুন সিইসি ১৯৯৬ সালে সরকার বিরোধী ‘জনতার মঞ্চ’ এর সংগঠক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের অনুগ্রহভাজন ও বিতর্কিত ব্যক্তি।’

খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির কর্নেল অলি আহমেদ, জামায়াতের আব্দুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বাংলাদেশ পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামী ঐক্যেজোটের এম এ রকিব, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বিবেচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের রূপরেখা নির্ধারণ, রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

সাবেক সচিব নূরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে সোমবার পাঁচ সদস্যের নতুন ইসি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার রাতেই নিয়োগের আদেশ জারি করে।

নুরুল হুদার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন অন্য চার নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন

 


শেয়ার করুন