বিএনপিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে সরকার

bnp-subidha-400x240আমাদের সময়.কম:
বিএনপিকে নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও আওয়ামী লীগ চাইছে তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহন করুক। বিএনপিকে চলমান আন্দোলন থেকে দুরে সরাতেই ক্ষমতাসীনদের এই চাওয়া। তাই ৫সিটিতে পরাজয়ের পরেও তিন সিটিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপিকে আহ্বান জানাচ্ছে দলটির নেতা-মন্ত্রীরা। একই সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনে এলে সরকার বেশ কিছু বিষয়ে তাদের সুযোগ সুবিধাও দিতে রাজি। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারণা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়া, নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা না দেওয়া ও মিছিল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। তবে পেট্রলবোমার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধ মামলা রয়েছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে হওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ছাড় দিতেও প্রস্তুত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুরের মতোই তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার পক্ষে সরকারের হাইকমান্ড। সূত্রটি আরও জানায়, দীর্ঘ আন্দোলনে দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার কথা চিন্তা করে সরকারও আপাতত বিএনপিকে আন্দোলন থেকে বের করতে চাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চাওয়া অনেকটা এক বিন্দুতে। কারণ দীর্ঘ দিন আন্দোলন করে বিএনপিও এখন ক্লান্ত। আন্দোলন ছেড়ে বিএনপি নির্বাচনমুখী হলে সরকার অনেক ছাড় দেবে; কিন্তু আন্দোলনে থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে সরকার আগের কঠোরতা অব্যাহত রাখবে। আর সহিংসতা ছেড়ে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে আসলে গণতান্ত্রিক সব সুযোগই সরকার বিএনপিকে দিতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, একদিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের কথা বলবেন, আর এদিকে হত্যাকান্ড চালিয়ে যাবেন। দুই টা এক সঙ্গে চলতে পারেনা।
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বা শোভাযাত্রা করতেও কোনও বাধার সম্মুখীন হবেন না। তবে যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সরাসরি অভিযোগ রয়েছে এবং চার্জশিটভুক্ত আসামি তারা পার পাবেন না। তবে গণগেপ্তার বা কোনও ফাঁদ নয় এ নির্বাচন। গত আড়াই মাস ধরে বন্ধ বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এটি সরকার বন্ধ করেনি। অসুস্থ রুহুল কবীর রিজভীকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তারা নিজেরাই আর কার্যালয় খুলেনি।


শেয়ার করুন