বাহুবলির নায়িকাকে লক্ষ করে জুতা নিক্ষেপ

বিনোদন ডেস্ক

ঢাকা: সিনেমায় অভিনয় করে তারকারা ভক্তদের যেমন ভালোবাসা পান, তেমনি মাঝে মাঝে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। সম্প্রতি এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে।

হায়দরাবাদে একটি জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। এ সময় তার দিকে জুতা নিক্ষেপ করে এক ব্যক্তি। উদ্বোধন শেষ করে তামান্না দোকান থেকে বের হয়ে উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়াচ্ছিলেন। তখন তাদের মাঝ থেকে একজন এই অভিনেত্রীকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে। পরবর্তী সময়ে এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩১ বছর বয়সি এই ব্যক্তির নাম করিমুল্লাহ। সে একজন বি টেক গ্র্যাজুয়েট।

নারায়ণগুড়া থানার ইন্সপেক্টর বি রবীন্দ্রর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, জুতাটি তামান্নাকে আঘাত করেনি, এটি দোকানের একজন কর্মচারীকে গিয়ে আঘাত করে। করিমুল্লাহকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানায়, এ অভিনেত্রী তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা দেখে রাগান্বিত হয়ে এ কাজ করে সে।

হিন্দি, তামিল, তেলেগু ভাষার সিনেমায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তামান্না ভাটিয়া। ভারতের অন্যতম সাড়া জাগানো বাহুবলি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। খুব শিগগির বলিউডের কুইন সিনেমার রিমেকে দেখা যাবে তাকে। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, কন্নড় ভাষায় শুটিং হবে সিনেমাটি। চলতি বছর মার্চে এটি মুক্তির কথা রয়েছে।

৫৬ কোটি রুপি আয় করলো ‘পদ্মাবত’ মাত্র ৩ দিনে
বহুল আলোচিত বলিউড মুভি ‘পদ্মাবত’ মুক্তির প্রথম তিন দিনেই ৫৬ কোটি রুপি আয় করেছে। ঐতিহাসিক কাহিনি নির্ভর গুণী পরিচালক সঞ্চয়লীলা বানশালীর এই ছবিটি চলতি বছরে সর্বোচ্চ সাড়া ফেলবে বলে আশা করছেন নির্মাতা ও কলাকুশলীরা।

ভারতজুড়ে বিক্ষোভের মুখে গত ২৫ জানুয়ারি ভারতসহ সারা বিশ্বে ছাড়পত্র পায় ‘পদ্মাবত’। মুক্তির প্রথম দিনই ছবিটি আয় করেছে ১৯ কোটি রুপি। যা বানশালীর যেকোনও ছবির চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় দিন শেষে ছবিটির আয় হয়েছে ৩২ কোটি রুপি।

এছাড়া গত বুধবারে প্রিভিউ থেকে ছবিটি আয় করেছে ৫ কোটি রুপি। তিনদিনে ছবিটি ইতিমধ্যে ৫৬ কোটি রুপি আয় করেছে।

উল্লেখ্য, শুরুতে ছবিটির নাম ‘পদ্মাবতী’ রাখা হলেও প্রতিবাদের মুখে নাম পরিবর্তন করে ‘পদ্মাবত’ করা হয়।

দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও রাজস্থান, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের মতো ভারতের বেশকিছু রাজ্যে এখনও প্রেক্ষগৃহ পর্যন্ত যেতে পারেনি ‘পদ্মাবত’।

পদ্মাবত ছবির গল্প চতুর্দশ শতাব্দীর একজন রাজপুত গোত্রের হিন্দু রানী এবং একজন মুসলিম সম্রাটকে নিয়ে।

ছবির গল্প এরকম- হিন্দু রাজপুত রানী পদ্মাবতীর রূপে আকৃষ্ট হয়ে দিল্লির তৎকালীন মুসলিম সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি ঐ রাজ্য আক্রমণ করে।

হিন্দু দলগুলোর অভিযোগ, ছবিতে স্বপ্নের অজুহাতে আলাউদ্দিন খিলজির সাথে রানী পদ্মাবতীর ঘনিষ্ঠ রোমান্টিক একটি সিকোয়েন্স রয়েছে। অবশ্য ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি তা অস্বীকার করেছেন।
তবে ঐ গুজবেই আগুনের মত বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ভারতের বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যে।

নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু সময় পর, ছবিটি (বৃহস্পতিবার) মুক্তি পেলেও, আগের দিনই গুজরাট, হরিয়ানা সহ বেশ কটি রাজ্যে ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। সেই ভয়ে, চারটি রাজ্যের সিনেমা হল মালিকরা ছবিটি মুক্তি দেননি।

ছবির কাহিনী কি সত্যিকারের ইতিহাস?

খিলজি একটি ঐতিহাসিক চরিত্র, কিন্তু বহু ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন পদ্মাবতী নেহাতই একজন কাল্পনিক চরিত্র। ষোড়শ শতাব্দীর মুসলিম কবি মালিক মহম্মদ জয়সির কাব্যে কল্পিত এক রাজপুত রানী তিনি।
কবিতায় রয়েছে – ঐ যুদ্ধে তার স্বামী খিলজির হাতে নিহত হওয়ার পর সম্ভ্রম রক্ষায় রানি পদ্মাবতী চিতায় উঠে আত্মহত্যা করেন।

রাজপুত গোত্রে সে সময় স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীদের চিতায় উঠে আত্মহত্যা করার চল ছিল। ১৮২৯ সালে ইংরেজরা আইন করে সেই সতী-প্রথা নিষিদ্ধ করে।

ইতিহাসবিদরা বলেন, সাতশ বছর আগে খিলজির চিতোর রাজ্য অভিযানের যে ঐতিহাসিক তথ্য রয়েছে, জয়সির কাব্য লেখা হয়েছে তার দু’শ বছর পর।। তারা বলেন, পদ্মাবতীকে ঘিরে যে রূপকথা পর্যায়ক্রমে তৈরি হয়েছে, বর্তমানের এই বিপত্তির মূলে রয়েছে সেটাই।


শেয়ার করুন