বাসটার্মিনালের আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তিসহ নানা অপকর্ম

4556432নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজারের বাসটার্মিনালের কয়েকটি আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে নানা অপকর্ম। চিহ্নিত আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রতিদিন অপকর্মের ঘটনা ঘটলেও দৃশ্যত কোন ধরনের অভিযান পরিচালিত হচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের অভিযোগে জানা গেছে, বাসটার্মিনাল এলাকার দি গ্র্যান্ড ঢাকা হোটেল আবাসিক ও কাশেম গেষ্ট হাউজ নামের দু’টি আবাসিক হোটেল কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। এই দুই চিহ্নিত হোটেলে প্রতিযোগিতামূলক চলছে অপকর্ম। দুই আবাসিক হোটেলে সমানতালে পতিতাবৃত্তি, মদ ও জুয়ার আসর বসে। প্রতিদিন সন্ত্রাসী, বখাটে ও ইয়াবাখোরদের আড্ডাখানা বসে সেখানে। বহু মামলার পলাতক আসামী হাফেজ ছৈয়দ নুর ও বিতর্কিত ইউপি সচিব শিহাব পরিচালনা করে আসছে দি গ্র্যান্ড ঢাকা হোটেল আবাসিক। অপকর্মের কারনে তৎকালীন কক্সবাজার শহরের গুলজারের মতো এই আবাসিক হোটেলের একাধিকবার নাম পরিবর্তন করতে হয়েছে। শুরুতে এই হোটেলের নাম পিএমকে গেষ্ট হাউজ হলেও বর্তমানে এর নাম দেওয়া হয়েছে দি গ্র্যান্ড ঢাকা হোটেল আবাসিক। এপর্যন্ত ১৫বছর ধরে এই হোটেলটি ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে চালাচ্ছে মালিকপক্ষ। উপরন্তু সেখানে চলে উল্লেখিত সব অপকর্ম। সূত্র আরো জানিয়েছে, ঈদগাঁও জালালাবাদ পালাকাটার জনৈক হাফেজ ছৈয়দ নুর ও সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শিহাব নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত। তারাই মূলত এই হোটেলটি জনৈক কবির আহমদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দিব্যি অনৈতিক ব্যবসা চালাচ্ছে। শিহাব ইউএনও’র সাথে মনোমালিন্যের কারনে সচিবের দায়িত্ব পালন না করে হোটেলের এই অনৈতিক ব্যবসাকেই বেচে নেয়। আরো উল্লেখ্য যে, গত ২০১৫ সালের শেষের দিকে এই হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে দুই মেয়েসহ আটক হয় দু’সহোদর। ওই হোটেলে পতিতা রেখে অনৈতিক ব্যবসার অভিযোগে ওই দুই ভাই পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।
এদিকে এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার আবদুর রহিম জানান, অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন