বার্ড’স আই…

মাহ্ফুজুল হকঃ
নবীজীর (সঃ) সর্বশেষ ইহলৌকিকসর্বশেষ উক্তি :
ফির রাফীক্বিল আ’লা-। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়
আল্লাহুম্মার রাফীক্বিল আ’লা-। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত মুয়াত্তা মা-লিক সৎকার অধ্যায়
আল্লাহুম্মার রাফীক্বিল আ’লা-। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়
ফির রাফীক্বিল আ’লা-। ফির রাফীক্বিল আ’লা-। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়
আল্লাহুম্মার রাফীকাল আ’লা-। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর দো’য়া অধ্যায়
আল্লাহুম মাগ্ফিরলী ওয়ারহাম্নী ওয়াল্হিক্বনী র্বিরাফীক্ব। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর রোগী অধ্যায়
নবী (সঃ) এর ইন্তিকালের পূর্বে যখন তাঁর পিঠ আমার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় ছিল, তখন আমি কান ঝুঁকিয়ে দিয়ে নবী (সঃ) -কে বলতে শুনেছি, (আল্লাহুম মাগ্ফিরলী ওয়ারহাম্নী ওয়াল্হিক্বনী র্বিরাফীক্ব।) হে আল্লাহ্ ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন এবং মহান বন্ধুর সঙ্গে আমাকে মিলিত করুন। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়

শেষ নিঃশ্বা ত্যাগ :
প্রিয় নবী জনাবে মুহাম্মদ মুস্তফা সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম দুনিয়ার বুকে তাঁর সর্বশেষ পবিত্র নিঃশ্বা সত্যাগ করেন ১২ রবিউল আউয়াল, ১১ হিজরী সোমবার সকাল বেলা (দুপুরের কাছাকাছি সময়) তেষট্টি বছর চার দিন বয়সে।

সর্বশেষ অবস্থান :
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) সুস্থাবস্থায় বলতেন, জান্নাতে তাঁর স্থান দেখানো ব্যতীত কোন নবী (আঃ) -এর প্রাণ কব্জ করা হয়নি। তারপর তাঁকে জীবন বা মৃত্যু একটি গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর যখন নবী (সঃ) অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাঁর মাথা আয়েশা (রাঃ) -এর উরুতে রাখা অবস্থায় তাঁর জান কবজের সময় উপস্থিত হল তখন তিনি সংজ্ঞহীন হয়ে গেলেন। এরপর যখন তিনি সংজ্ঞা ফিরে পেলেন তখন তিনি ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, (আল্লাহুম্মা ফীর রাফীক্বিল আ’লা-।) হে আল্লাহ্! উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই)। অনন্তর আমি বললাম, তিনি আর আমাদের মাঝে থাকতে চাচ্ছেন না। এরপর আমি উপলব্ধি করলাম যে, এটা হচ্ছে ঐ কথা যা তিনি আমাদের কাছে সুস্থাবস্থায় বর্ণনা করতেন। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়
মা আয়েশা (রাঃ) প্রায়ই বলতেন, আমার প্রতি আল্লাহ্র এটা নিয়ামত যে, আমার ঘরে, আমার পালার দিনে এবং আমার গন্ড ও সিনার মাঝে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) এর ইন্তিকাল হয় এবং আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর ইন্তিকালের সময় আমার থুথু তাঁর থুথুর সঙ্গে মিশ্রিত করে দেন। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়

সর্বশেষ কাজ :
আবদুর রহমান ইবনু আবু বকর (রাঃ) নবী (সঃ) এর কাছে এলেন। তখন আমি নবী (সঃ) -কে আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় রেখেছিলাম এবং আবদুর রহমানের হাতে তাজা মিসওয়াকের ডাল ছিল যা দিয়ে সে দাঁত পরিষ্কার করছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। আমি মিসওয়াকটি নিলাম এবং তা চিবিয়ে নরম করলাম। তারপর তা নবী (সঃ) -কে দিলাম। তখন নবী (সঃ) তা দিয়ে দাঁত মর্দন করলেন। আমি তাঁকে এর পূর্বে এত সুন্দরভাবে মিসওয়াক করতে আর কখনো দেখিনি। এ থেকে অবসর হয়েই রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁর উভয় হাত অথবা আঙ্গুল উপরে উঠিয়ে তিনবার বললেন, (ফির রাফীক্বিল আ’লা-।) উচ্চে সমাসীন বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই), তারপর তিনি ইন্তিকাল করলেন। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়

সর্বশেষ বাক্যালাপ :
নবী (সঃ) ফাতিমাকে (রাঃ) কাছে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন ফাতিমা (রাঃ) কেঁদে ফেললেন ; এরপর নবী (সঃ) পুনরায় তাঁকে ডেকে চুপে চুপে কিছু বললেন, তখন হাসলেন।
আমরা এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন, নবী (সঃ) যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এ রোগেই তাঁর ইন্তেকাল হবে -এ কথাই তিনি গোপনে আমাকে বলেছেন। তখন আমি কাঁদলাম। আবার তিনি আমাকে চুপে চুপে বললেন, তাঁর পরিজনের মধ্যে সর্বপ্রথম আমিই তাঁর সঙ্গে মিলিত হব, তখন আমি হাসলাম। -মা আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযি অধ্যায়

প্রিয়জনের সাথে শেষ সাক্ষাৎ :
নবীজী (সঃ) প্রিয় দৌহিত্রদ্বয় হাসান ও হোসাইন (রাঃ) কে আনতে বললেন। তিনি তাঁদেরকে চুমু খেলেন এবং তাঁদের যত্ন নিতে বললেন।
নবীজী (সঃ) তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীগনকে দেখতে চাইলেন। তঁদেরকে ডেকে আনা হল। তিনি তঁদেরকে উপদেশ দিলেন এবং আল্লাহ্কে স্মরণ করতে বললেন।

শেষ সময়ের নসিহত :
নবীজী (সঃ) জনসাধারণকে নামায প্রতিষ্ঠা করার এবং গোলামদের প্রতি সদয় হতে আদেশ দিলেন।

সর্বশেষ ইমামত :
আমি নবীজিকে (সঃ) মাগরিবের সালাতে সূরা ‘ওয়াল মুরসলাতি গুরফা-’ পাঠ করতে শুনেছি। তারপর আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর রূহ্ কব্জ করা পর্যন্ত তিনি আমাদের নিয়ে আর কোন সালাত আদায় করেননি। -উম্মুল ফজল বিনতে হারিস (রাঃ) বর্ণিত বুখারীর মাগাযী অধ্যায়।

সর্বশেষ নামাযে অংশগ্রহণ :
আবু বকর (রাঃ) যখন ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) মাথায় পট্টি বেঁধে সেখানে উপস্থিত হলেন। লোকেরা খুশী হয়ে কাতার থেকে সরে গেল। আবু বকর (রাঃ) বুঝতে পারলেন যে, লোকজন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) এর জন্যই এরূপ করেছে। তাই তিনি তাঁর স্থান থেকে পিছিয়ে আসলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) তাঁর পিঠে হাত দিয়ে সামনে ঠেলে দিয়ে বললেন : ‘তুমিই নামায পড়াও।’ তারপর তিনি আবু বকরের ডান পাশে বসে নামায পড়লেন। -ইবনে হিশাম

জনগনের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ ভাষণ :
নামায শেষে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) মুসল্লীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে এত উচ্চস্বরে ভাষণ দিলেন যে, মসজিদের বাইরে থেকেও তা শোনা গিয়েছিল। তিনি বললেন : ‘হে জনমন্ডলী, জাহান্নামের আগুনকে উত্তপ্ত করা হয়েছে। আর দুর্যোগসমূহ অন্ধকার রাতের মত ঘনিয়ে এসেছে। মনে রেখ, আমার নিজস্ব কোন জিনিস তোমাদের মেনে চলতে হচ্ছে না। আমি কোরআনের বৈধ করা ছাড়া আর কোন জিনিস বৈধ এবং কোরআনে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোন জিনিস নিষিদ্ধ করিনি।’-ইবনে হিশাম

সর্বশেষ দর্শন দান :
ইবনে ইসহাক বলেন, আনাস ইবনে মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে যুহরী জানিয়েছেন যে, আল্লাহ্ যেদিন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কে চিরদিনের জন্য আপন সান্নিধ্যে ডেকে নেন সেদিন ছিল সোমবার। মুসলমানগন জামায়াতে ফজরের নামায আদায় করছিলেন ঠিক সে সময় রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) পর্দা তুলে এবং দরজা খুলে বেরিয়ে আয়েশা (রাঃ) এর গৃহ সংলগ্ন দরজার চৌকাঠের উপর দাঁড়ালেন। নামায আদায়কারী মুসলমানগন তাঁকে এক নজর দেখে আনন্দে আত্নহারা হয়ে গেলেন। এ সময় খুশীতে তাঁরা নামাযই ভেঙ্গে ফেলার উপক্রম করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কারো সাহায্য ছাড়া একাকী দাঁড়ানো দেখে তাঁদের মন থেকে সকল দুশ্চিন্তা ও আশংকা মুহুর্তের মধ্যে দূর হয়ে গেল। তিনি তাদের নামায আদায়ের শৃঙ্খলা দেখে খুশীতে মুচকি হাসলেন এবং ইঙ্গিতে বললেন : ‘নামায ছেড়ে দিও না বরং শেষ কর।’ সেদিন সেই মুহুর্তে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কে যেরূপ মনোহর ভঙ্গিতে দেখেছিলাম, তেমন আর কখনো দেখিনি। এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) ফিরে গেলেন। -ইবনে হিশাম

সর্বশেষ ঘরের বাইরে যাওয়া :
অসুস্থতার সূচনা হয় সফর মাসের শেষের দিনগুলোতে অথবা পয়লা রবিউল আউয়ালে। পীড়ার সূচনা হয় এভাবে, রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) আযাদকৃত গোলাম আবু মুয়াইহিবা (রা) বলেন : ‘রাসূলুল্লাহ্ আমাকে মধ্য রাতের দিকে ডেকে তোলেন এবং বলেন : হে আবু মুয়াইহিবা, আমি এই কবরস্তানের (জান্নাতু বা’কী) মৃতদের জন্য ইস্তিগফার করতে আদিষ্ট হয়েছি। তুমি আমার সাথে চল। আমি তাঁর সাথে গেলাম।’ -ইবনে হিশাম

শেষ সময়ে উপস্থিত স্বজনগন :
রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) বিদায়কালীন সময়ে যে স্বজনরা আশেপাশে ছিলেন তাঁরা হলেন, মা আয়েশা (রা), বিবি ফাতেমা (রা), আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা), ফজল ইবনে আব্বাস (রা), আলী ইবনে আবি তালিব (রা), উম্মুহাতুল মু’মিনীনগন (রা), আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব, হাসান ও হোসাইন (রা)। -ইবনে হিশাম, আর রাহীকুল মখতুম

শেষ বস্তুটিও দান :
রোববার, ইন্তিকালের আগের দিন নবীজি তাঁর গোলামদের আযাদ করে দেন, তাঁর কাছে থাকা ৭টি দিনার দান করে দেন এবং তাঁর অস্ত্রগুলো মুসলমানদের উপহার হিসাবে দিয়ে দেন। রাত্রি বেলায় কুপি জ¦ালানোর জন্য মা আয়েশাকে (রাঃ) তাঁর প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার করে তেল আনতে হয়। এমনকি তাঁর বর্মটি ৩০ সা’ বার্লির বিপরীতে এক ইহুদির কাছে বন্ধক দেয়া হয়।

উপশমের চেষ্টা :
মা আয়েশা (রা) বলেন : রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) নিজ পরিবারভূক্ত দুই ব্যক্তি ফযল ইবনে আব্বাস (রা) ও অন্য একজনের কাঁধে ভর করে মাথায় পট্টি বাঁধা অবস্থায় পা টেনে হাঁটতে হাঁটতে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাসের (রা) মতে অপর ব্যক্তিটি ছিলেন আলী ইবনে আবু তালিব (রা)। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাসূলুল্লাহ্র যন্ত্রণা বেড়ে গেল এবং তিনি কাতর হয়ে বললেন : ‘বিভিন্ন কূয়া থেকে সাত মশক পানি এনে আমার মাথায় ঢাল- যাতে আমি জনগনের কাছে গিয়ে অঙ্গীকার আদায় করে আসতে পারি।’ আমরা তাঁকে হাফ্সা বিনতে উমারের (রা) একটি বড় কাপড় ধোয়া পাত্রের কাছে বসিয়ে তাঁর মাথায় প্রচুর পরিমাণে পানি ঢাললাম। অবশেষে তিনি বললেন : ‘যথেষ্ট হয়েছে ! যথেষ্ট হয়েছে।’
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) অসুস্থ হয়ে পড়তেন তখন তিনি আশ্রয় প্রর্থনার দুই সূরা (ফালাক ও না’স) পাঠ করে নিজ দেহে ফুঁক দিতেন এবং স্বীয় হাত দ্বারা শরীর মাসাহ্ করতেন। এরপর যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হলেন, তখন আমি আশ্রয় প্রার্থনার সূরা দুটি দিয়ে তাঁর শরীরে ফুঁ দিতাম, যা দিয়ে তিনি ফুঁ দিতেন। আর আমি তাঁর হাত দ্বারা তাঁর শরীর মাসাহ্ করিয়ে দিতাম।
উম্মে সালামা ও মায়মুনা (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) কতিপয় স্ত্রী এবং আসমা বিনতে উমাইস সহ মুসলমানদের কতিপয় স্ত্রীলোক তাঁর কাছে জমায়েত হলেন। চাচা আব্বাস আগেই উপস্থিত ছিলেন। সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কে ‘লাদুদ’ ঔষধ খাওয়ানো হলে পর তিনি সংজ্ঞা ফিরে পান যদিও তা রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) পছন্দনীয় ছিল না।

কাফন দাফন :
আলী ইবনে আবু তালিব, আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব, ফযল ইবনে আব্বাস, কুসাম ইবনে আব্বাস, উসামা ইবনে যায়িদ ও রাসূলুল্লাহ্র (সঃ) মুক্ত গোলাম শাকরান এবং আওস ইবনে খাউলী আনসারী (রাদিয়াল্লাহু আজমায়ীন) তাঁকে গোসল দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত হন।
তিনটি কাপড় দিয়ে হুজুরকে (সঃ) কাফন পরানো হল : দুইখানা সহারী এবং একখানা ইয়েমেনী চাদর যা কয়েক ভাঁজ দিয়ে পরানো হল।
আবু তালহা (রাঃ) ‘লাহাদ’ কবর খনন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) যে বিছানায় ইন্তিকাল করেন তা তুলে তার নিচেই কবর খনন করা হয়।
রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কে শোয়ানোর জন্য কবরে নেমেছিলেন আলী, ফযল, কুসাম ও শাকরান (রাঃ)।

সমাহিত করার দিন :
বুধবার মধ্য রাতে (অর্থাৎ ১৪ রবিউল আউয়াল, ১১ হিজরী) বিশ^ জাহানের সর্দার, মানবতার মুক্তির দিশারী, রহ্মাতুল্লিল আ’লামীন মুহাম্মদ মুস্তফা সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম চিরদিনের জন্য পবিত্র মদিনায় মসজিদে নববীর পাশে শায়িত হলেন।

‘ওমা মুহাম্মদুন ইল্লা রাসূল। ক্বদ খলত্ মিন ক্বব্লিহির রুসুল। আফায়িম মা-তা আউ ক্বুতিলান ক্বালাব্তুম আলা- আ’ক্বা-বিকুম। ওয়ামাই ইয়ান্ক্বালিব আলা- আক্বিবাইহি ফালাই ইয়াদুর রল্লাহা শাইআঁ। ওয়াচাইয়ায্জিঅল্লাহুশ শা-কিরীন।’

আমি কখনো এমন শোভামন্ডিত আর আলোকোদ্ভাসিত দিবস দেখিনি যখন আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) আমাদের মাঝে আবির্ভূত হন; আবার আমি কখনো দেখিনি এতো বেদনাবিধুর আর বিষন্নভরা দিবস যখন আল্লাহ্র রাসূল (সঃ) পরপারে চলে যান। -আনাস (রাঃ)

[তথ্য সূত্র : সহীহুল বুখারী, ইবনে হিশাম, আর-রহীকুল মখ্তুম]


শেয়ার করুন