নাটকের লেখক, কৌতুক অভিনেতা ই.খ.ম ইসমাইল
বাস্তবতার যাতাকলে চোখের আড়ালে পড়ে থাকা মেধাবী মুখ অনেকে দেখেও দেখে না। সমাজের কারো সদয় চোখে পিছিয়ে থাকা মফস্বল এলাকার বহুমুখি প্রতিভাগুলোকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়ার সুযোগ করে দিলে সমাজ হয় তো কিছু পাবে না এমন নয়। হয় তো অনেককিছু পেতে পারে। এমনই একজন অজপাড়া গায়ের সন্তান। মঞ্চ-নাটক,গানের মেধাবী কৌতুক অভিনেতা অবহেলায় লুকিয়ে থাকা একটি নাম ই.খ.ম ইসমাইল।
সিটিএন’র পক্ষে সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন আবদুল আলীম নোবেল
পরিচয় –
নাম : ই.খ.ম ইসমাইল পিতা : ইবরাহিম খলিল, মাতা- রাশেদা বেগম, টেকনাফ উপজেলাধীন হ্নীলা ।
১৯৮২ সালের পহেলা জুলাই অজপাড়া গাঁ পানখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। বৈবাহিক অবস্থা দু’সন্তানের জনক, এক ছেলে, এক মেয়ের বাবা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা- কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে সামাজিক বিজ্ঞান নিয়ে (বিএসএস) বিষয়তে ভাল ফলাফল নিয়ে পাশ করেন এই কৌতুক অভিনেতা। ছোট কাল থেকে যে কোন মঞ্চ-নাটকে,কৌতুকে, গীতিকবিতায়, গানসহ তিনি নানান ভাবে পরিচিত। বিশেষ করে কৌতুকের প্রতি দারুণ দুর্বলতা তার। এই টানে তিনি ছোট কাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মঞ্চ নাটকসহ নানা ধাচে অভিনয় করে দর্শক শ্রুতার মন জয় করেছেন।
কখন থেকে অভিনয় শুরু ?
১৯৯৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একটি মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এর পর থেকে তাকে আর কোথাও থেমে থাকতে হয়নি। তবে, অভিনয়ের এক যুগের বেশি সময় নানা ধাপে সফলাতার সাথে মাঠ চষে-বেড়ালেও বর্তমানে তিনি সংসার ও বাস্তবার যাতাকলে নিষ্পেসিত। এর পরেও এই কৌতুক অভিনেতা পেশা আর সখের টানে ছুটে যায় মঞ্চে, জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
নিজ লিখা ?
নাটকের মধ্যে বাঙালি কেন রাজাকার? এই নাটকটি সমাজে দারুণ দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। এটি তাকে সবখানে পরিচিত করে তুলেছে। তার অভিনয় করা নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘অবহেলিত বাবা’, ‘বাটপারী সস্তা জিনিস না’, ‘বেজাল মানুষ’, ‘শিক্ষা’, ‘বিইয়ার ছেলে’সহ আরো অসংখ্য মঞ্চ নাটক।
পুরুষ্কার?
স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কোন পুরুষ্কার হাতে না উঠলেও সহ¯্র ভক্তগনের অফুরন্ত ভালবাসা ও দোয়া-পাওয়া গেছে বলে এমন দাবী তার। অভিনয় পছন্দের তালিকায় রয়েছে: ‘শিক্ষক’,‘ গরীব কৃষক’, ‘ভিখারী’।
ইচ্ছা কি?
এখন আর কোন অভিনয় করার শখ নেই। কারণ, পেটে ভাত নেই, অভিনয় ভুলে গেছি, ভাত নাই পেটে যার, দুনিয়ায় সব নষ্ট তার।
ভবিষ্যৎ কি করতে চান?
যদি সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পাওয়া যায় স্থানীয় পর্যায়ে একটি আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র খোলার ইচ্ছে আছে, যাতে গ্রামের শিশু কিশোরা অভিনয় করে জাতীয়ভাবে সাফল্য লাভ করতে পারে।