ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক এখন মরন ফাঁদ

1010 copy (1)মো.আবুল বাশার নয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ি :

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক টি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চলতি বৎসর চার দফা ভয়াবহ বন্যা ও পাহড়ী ঢলের পানিতে দীর্ঘ ২১ কিলোমিটার পাঁকা সড়কটির অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দ সহ পাহাড়ী ছড়ায় রূপ ধারন করেছে।

সড়কের মিনিবাস মালিক সমিতির ম্যানেজার ও ইউপি সদস্য মো:শাহাজাহান বলেন, বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় কাঁদা মাটি মাড়িয়ে গাড়ি চলাচল করায় তাদের সমিতির অনেক গুলো গাড়ি অকেজো হয়ে পড়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী, ঈদগড়, গর্জনিয়ার তিন ইউনিয়নের ২ লাখ মানুষের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম উক্ত সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যায় সড়কের পাল পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, হিমছড়িঢালা, অর্জূনবাগান, ঘুমচাকাটা, বৈধ্যপাড়া, অলিরঝিরি, বেঙডেবা, হাজিরপাড়াসহ অশংক্য স্থানে ভেঙ্গে বিশাল গর্তে পরিনত হয়েছে। যার ফলে তিন ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে যাতায়ত করছে।

কক্সবাজার জেলা শহর ও বান্দরবান জেলা শহরে যাওয়ার এক মাত্র মাধ্যম দীর্ঘ ২১ কিলোমিটার এই সড়কটি বর্তমানে সরাসরি মহাসড়কের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গনের ফলে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে মহাসড়কে যেতে হয়।

এতে করে মুমুর্ষ রোগীদের কাঁধে বহন অথবা অন্য কৌশল অবলম্বন করে নিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া তিন ইউনিয়নের উৎপাদনশীল দ্রব্য সামগ্রী রাবার ও রবি শষ্য ফল ফলাদি যথা সময়ে বাজারে পৌছাতে না পেরে পঁচন ধরেছে বলে জানালেন স্থানীয় কৃষক মো: সুলাইমান।
ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্রো বলেন- ঈদগড়-ঈদগাঁও ১৩ কিলোমিটার সড়কের জন্য ৭ কোটি ১০ লাখ টাকার টেন্ডার ইতিমধ্যে হয়েছে। অচিরেই সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু হবে।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন- বিগত দিনে বাইশারী ঈদগড় সড়কটি এলজিইডির অধীনে ছিল। এখন সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধীনে চলে গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান।

এবিষয়ে বান্দরবান জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউছুফের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকের নিকট বলেন আমি সদ্য যোগদান করেছি এবং সড়কটি বিগত দিনে এলজিইডির অধীনে ছিল তাই কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন