বাইশারীতে সংখ্যালুঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ

imagesমুফিজুর রহমান, বাইশারী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এক সাবেক জনপ্রতিনিধি কর্তৃক স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজ করে সংখ্যালুঘু পরিবারের জমি জবর দখল করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত দিনে দখলকৃত জমি ফিরে পাওয়ার আশায় জবর দখলকারী সাবেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ১৪/০২/২০১৪ইং সালে পুলিশ সুপার বরাবরে একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদনে জমি জবর দখলের সত্যতা পাওয়ার পরও কোন ধরনের আইনী সহায়তা না পাওয়ায় পূনরায় ১৫/০৮/২০১৪ইং তারিখ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গিয়ে একখানা সাধারন ডাইরী করেন। কিন্তু সারাজীবনের আয় নিয়ে ক্রয়কৃত জমির দখল বুঝে না পাওয়ায় সবকিছু হারিয়ে সংখ্যালূঘু সূধাংশু বিমল দে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সুত্র মতে, ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত দিনেশ চন্দ্র দে (বিনোদ চন্দ্র দে) এর পুত্র সূধাংশু বিমল দে বিগত ০৩/০৫/১৯৯৯ইং সালে জমি বিক্রির অঙ্গীকার দলিল নং ১০৯/১৯৯৯ মূলে ২৭৮নং বাইশারী মৌজার ১২৭নং খতিয়ানের আন্দর ০.১৯ শতক জমি আবুল হাসেম গং থেকে ক্রয় করে ৩-৪ বৎসর ভোগ দখল করে জমি চাষাবাদে করে আসলেও সময়ের বিবর্তনে জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উক্ত জমির উপর তৎকালিন চেয়ারম্যান নুরুল হাকিমের লৌলুপ দৃষ্টি পড়ে। সেই সময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে উক্ত জমির উপর স্থীত বাড়ীঘর ভাংচুর করে জবর দখল করে নেয়।
নিরুপায় হয়ে সংখ্যালুঘু সূধাংশু বিমল দে বান্দরবান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০০৩ সালে ৩২ (ডি) উচ্ছেধ মামলা করেন। উচ্ছেধ মামলায় আদেশ প্রাপ্ত হয়ে পূনরায় উক্ত জমিতে তিনি ঘরবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন।
কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিম উক্ত আদেশের উপর জেলা দায়রা জজ আদালতে মিস আপীল মামলা নং- ১৭৬/২০০৫ দায়ের করেন। কিন্তু মিস আপীল মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে আর না চালানোর হেতুতে গুনাগুনের ভিত্তিতে ঙহ সবৎরঃ না মঞ্জুর করেন।
পূনরায় ২৫/০৬/২০১৪ইং তারিখ মিস সিআর মামলা নং- ৬৪/২০১৪ বিজ্ঞ আদালতে সূধাংশু বিমল দে গং এর বিরুদ্ধে ২৭৮নং বাইশারী মৌজার ১২৭নং খতিয়ানের আন্দর ০.২০ শতক জমির উপর ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে উক্ত সাবেক জনপ্রতিনিধি।
বিজ্ঞ আদালত বিগত ০৬/০৮/২০১৪ইং তারিখ সূদাংশু বিমল দে ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিমের জবাব ও পক্ষদ্বয়ের শুনানীতে দেওয়া বক্তব্য এবং উভয় পক্ষের দাখিলকৃত কাগজপত্র বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনাকালে মামলাটি নথিজাত করেন এবং স্মারক নং- ১৪-৪৬৩ মূলে উক্ত জমির স্থীতাবস্থার আদেশ প্রত্যাহার করে সূধাংশুর পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু জমি জবর দখলকারী সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিম এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিকে ম্যানেজের মাধ্যমে জমি নিজের দখলে রাখায় উক্ত জমি ফিরে পাচ্ছেনা সংখ্যালুঘু পরিবার।
সংখ্যালুঘু সূধাংশু ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও কোন ধরনের সাড়া পাননি। বর্তমানে তার ক্রয়কৃত জমি ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।


শেয়ার করুন