সিটিএন ডেস্কঃ
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফফোর ডটকমকে বলেন, “ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়েছে।”
এই চারজন হলেন- রাসেল ওরফে ভাগনে রাসেল, রুবেল ওরফে শুটার রুবেল, রাসেল ওরফে চাকতি রাসেল ও শরীফ।
রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে মুনিরুল ইসলাম দাবি করেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যারহস্য উদঘাটনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের সড়কে তাভেল্লাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা পালিয়ে যায় মোটর সাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন ইতালির এই নাগরিক, ঢাকায় তিনি একাই থাকতেন।
চেজারে তাভেল্লা
ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটকের খবর এর আগে গণমাধ্যমে এলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কখনো বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি।
পুলিশের সরবরাহ করা সিসিটিভির ছবি প্রকাশ করে গত ২১ অক্টোবর বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, ওই ছবিতে থাকা তিনজনকে পুলিশ তাভেল্লার হত্যাকারী সন্দেহে খুঁজছে।
হত্যাকাণ্ডের দিন সন্ধ্যায় গুলি শব্দের পর তিনজনকে অস্ত্র হাতে পালিয়ে যেতে দেখেছেন বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন।
ওই রাতেই ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ নামে একটি জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইএস-এর ‘দায় স্বীকারের’ খবর দিলেও তার কোনো ‘ভিত্তি নেই’ বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আইএসের নামে যে টুইট করা হয়েছে তা এসেছে বাংলাদেশ থেকেই।