বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে দৃষ্টি ভারতের

downloadসিটিএন ডেস্ক:

ইরানে চাবাহার বন্দর নির্মাণের পর এবার বাংলাদেশের পায়রা বন্দর নির্মাণে আগ্রহী হয়ে উঠেছে ভারত সরকার। এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতে এমন সব বন্দর নির্মাণ করাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় পত্রিকা দ্য হিন্দু। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলায় নির্মিত হবে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়ালিংফোর্ড বন্দর নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের দায়িত্ব পেয়েছে। ভারতের শিপিং মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর শেষে পায়রা বন্দর নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক গবেষণা শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের দিকে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বন্দর নির্মাণের জরিপের তথ্য ও প্রযুক্তিগত গবেষণা জমা দিতে পারেন। তবে ওই কর্মকর্তা জানান, এ বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক কারণে নেয়া হয়নি। বরং কৌশলগত কারণেই নেয়া হয়েছে। পায়রায় বড় জাহাজের জন্য গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আশপাশের নদীর পলি একটি চিন্তার কারণ। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ পড়ে বেশি। আবার মংলা বন্দরের সমস্যা হলো, পর্যাপ্ত সড়ক ও রেল যোগাযোগের অভাব। এর ফলে এসব সীমাবদ্ধতার সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে পায়রাকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ নতুন কোন বন্দর নির্মাণ করেনি। তাই এবার বন্দর নির্মাণে ব্যাপক আগ্রহী বাংলাদেশ। কেননা, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টশিল্পের সম্ভাবনা কেবলই বাড়ছে। এ বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্যও মালামাল পরিবহণ করা যাবে বলে মনে করছে ভারত।
ওই কর্মকর্তার মতে, ভারতের আগের সরকারগুলো এ ধরণের সম্ভাবনা হেলায় ফেলে দিয়েছিল। ছিল না কোন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা। মালাবি সহ বেশ কয়েকটি পূর্ব আফ্রিকান দেশ পূর্বের ইউপিএ সরকারকে তাদের নিজ দেশে বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে সুযোগ নেয়নি ইউপিএ সরকার। কিন্তু মোদি সরকার পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে বন্দর নির্মাণকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। এ জন্য সেপ্টেম্বরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হবে।


শেয়ার করুন