বাংলাদেশের টার্গেট ২১২ রান

image_148298_0অপেক্ষাকৃত খর্ব শক্তির দল হলেও কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ভালোই চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছে নেপাল। ব্যাট হাতে নিজেদের কাঙ্খিত টার্গেটই ঠিকই পূরণ করেছে দলটি। শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশও অলআউট করতে পারেনি নেপালকে। অধিনায়ক রাজু রিজালের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২১১ রান করেছে নেপাল। শেষ আটের বাধা টপকে সেমিফাইনালে উন্নীত হতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২১২ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা নেপালের ইনিংসটা বেড়ে উঠেছে ছোট ছোট কয়েকটি জুটির উপর ভর করে। দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার পেছনে বড় অবদান অধিনায়ক রাজু রিজালের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার দামালার সঙ্গে ৪৪, চতুর্থ উইকেটে আরিফ শেখের সঙ্গে ৫১ ও পঞ্চম উইকেটে রাজবীর সিংয়ের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েছেন তিনি। সঙ্গীরা ইনিংস বড় করতে না পারলেও রাজু রিজাল তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৮০ বলে অনবদ্য ৭২ রানের (৮ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেছেন নেপালের অধিনায়ক।

নিজেদের ভুল ও বাংলাদেশের ভালো ফিল্ডিংয়ের যোগফলে রান আউট হয়েছেন নেপালের চার ব্যাটসম্যান। ওপেনার দামাল ২৫ রান করে রান আউট হন। এমনকি অধিনায়ক রাজু রিজালের মূল্যবান উইকেটও রান আউটের খড়গেই পড়েছিল। সপ্তম ব্যাটসম্যান কুশাল বুরটেলও ১৪ রান রানআউট হন। দশ নম্বরে আসা সুশীল কানদেল ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হয়ে যান ২ রান করে।

যদিও ইনিংসের শুরুতে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল নেপাল। ষষ্ঠ ওভারে সাইফুদ্দিন সন্দ্বীপ সুনারকে (৭) বোল্ড করেন। যুগেন্দ্র সিং কারকিকে (১) ফেরান মেহেদী হাসান রানা। ২১ রান করা আরিফ শেখ সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়েছিলেন। রাজবীর সিংকে (৯) সালেহ আহমেদ শাওন এলবির ফাঁদে ফেলেন। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে ডিপেন্দ্র সিং আইরি ২২ রান করে বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। শেষ দিকে প্রেম তামাংয়ের ২৪ বলে অপরাজিত ২২ রানের বদৌলতে নেপালের স্কোরটা দুশো পার হয়। বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন ২টি, মিরাজ, রানা ও শাওন ১টি করে উইকেট নেন।


শেয়ার করুন