বাংলাদেশের জঙ্গীবাদের পেছনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা

66666সিটিএন ডেস্ক:
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন উপজেলার শান্ত নিরিবিলি রামকেশব গ্রাম। এর হৃদপি-েই যেন এক চিলতে বিচ্ছিন্ন ছেঁড়া দ্বীপ, যেখানে গড়ে উঠেছিল গ্রিন ক্রিসেন্ট মাদ্রাসা। দিনের বেলায় চলত লেখাপড়া। রাত গভীর হলেই শুরু হতো ‘জঙ্গিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ’। ২০০৯ সালের ২৪ মার্চ। হঠাৎ সেই মাদ্রাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, অস্ত্রশস্ত্র আর গ্রেনেড তৈরীর উপাদান। অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়। এদের একজন শিক্ষক ও তিনজন কেয়ারটেকার।

তারপর হঠাৎ সবকিছু ‘রহস্যজনকভাবে’ হয়ে যায় চুপচাপ। জামিনে ছাড়া পান এর সব আসামীই। অত্যন্ত গোপনে এর প্রধান আসামী ড. ফয়সাল মোস্তফাকে বিশেষ ফ্লাইটে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রিটেনে। ফয়সালের এমন রহস্যময় প্রস্থান জন্ম দেয় আরও প্রশ্নের।

আসলেই কী হতো সেই মাদ্রাসায়? ফয়সালের আসল পরিচয় কী? আসলেই কি সেটা জঙ্গি ঘাঁটি ছিল? নাকি এর পেছনের রয়েছে আরও বড় কোনো রহস্য? এক সময় দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যায়। আর তাতেই দেখা দেয় আরও সন্দেহ। এই সন্দেহ থেকে ঘটনার পিছু নেন বাংলাদেশের অন্যতম অনুসন্ধানী প্রতিবেদক আবু সুফিয়ান, যিনি এখন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক। তার দীর্ঘ ৬ বছরের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নেপথ্যের অজানা অনেক তথ্য।

ফয়সালের একটি অপ্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নিজেকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর এজেন্ট দাবি করছেন। বাংলাদেশে তার ‘মিশন’ও তিনি বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে অকপটে প্রকাশ করেছেন।


শেয়ার করুন