বাংলাদেশের গণমাধ্যম চাপের মধ্যে আছে: টিআইবি

173818_1বাংলাদেশে গণমাধ্যম চাপে আছে বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ।

সরকারকেই গণমাধ্যমের স্বাধীন পরিবেশ তৈরির জন্য মৌলিক দায়িদ্ব পালন করতে হবে। মঙ্গলবার ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এসডিজি ১৬ ও সুশাসন:সরকার, গণমাধ্যম ও জনগণ শীর্ষক এক সংলাপে এই দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম চাপে আছে-বেশিরভাগ বক্তাই এই ধরনের অভিযোগ করলেও কারা এবং কীভাবে চাপ দিচ্ছে সেটি সুষ্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেননি। যদিও বেশিরভাগ বক্তাই কথা বলেন সরকারকে ইঙ্গিত করেই।

সংলাপে এমনও বলা হয়, গণমাধ্যমের ওপর চাপের দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ নয়, বরং অনেক দিক থেকেও ভাল।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সমালোচকদেরকে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই ভাবতে হবে। সরকারের মধ্যে এই মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, যারা গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশের অন্তরায় সৃষ্টি করে, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তারা সাময়িক সুবিধা লাভ করলেও দীর্ঘমেয়াদে তা তাদের জন্যই ক্ষতিকর হয়। চূড়ান্ত বিচারে এটা বুমেরাং হয়।

সংলাপে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আফসান চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে আমি পত্রিকা পড়ি না। অনলাইনে দেখি। অনলাইনে খুব দ্রুত বেশি মানুষের কাছে খবর পৌঁছানো যায়। তাই এই মাধ্যমের বিকাশের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে অনলাইন মাধ্যমকে ব্যবহার করে কেউ ভুয়া খবর প্রচার করতে না পারে।’

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে দলগুলো অনেক কিছু বলে। কিন্তু যখন তারা ক্ষমতায় যায়, তখন দলগুলো চায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো যেন তাদের হয়ে কাজ করে। এই মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।

টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের,কলামিস্ট মুহম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ এই সংলাপে বক্তব্য দেন।


শেয়ার করুন